বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ তথা রাজ্যের বিজেপি সরকারের। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা প্রবল খরার কবলে। জলের জন্য মানুষ হাহাকার করছে সে রাজ্যের বহু জায়গায়। এই পরিস্থিতিতেও দেখা গিয়েছিল পুরসভার বহু টাকার জলের বিল বাকি রেখেছেন ফড়নবীশ। তাঁর সরকারি বাংলো ‘বর্ষা’র নামে বিএমসি-তে ৭,৪৪,৯৮১ টাকা জলের বিল বাকি আছে। যে কারণে ডিফল্টারও ঘোষণা করা হয়েছে বর্ষাকে৷ আর এবার তাঁর নামে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। এর আগে রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাতিলের বিরুদ্ধে ৩৪০ কোটি টাকার জমি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এবার কেলেঙ্কারির কালি লাগল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে। ফড়নবীশের হাতে থাকা নগরোন্নয়ন দফতরের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। এক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ ২০,০০০ কোটি টাকা বলে বিরোধীদের দাবি।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের হাতে থাকা নগরোন্নয়ন দফতরের বিরুদ্ধে গতকাল বিধানসভায় জমি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল। তাঁর অভিযোগ, গরিবদের আবাসন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত বিপুল পরিমাণ জমি দেশের মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি পরিবার এবং বৃহৎ নির্মাণ সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তিনি বলেন, ‘এটি ২০,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। এই আইন সংশোধনের মাধ্যমে গরিবদের গৃহ নির্মাণের জন্য চিহ্নত জমি আসলে ধনীদের কাছে পার্সেল করা হল।’ উল্লেখ্য, গোটা বিতর্কের মূলে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভায় গৃহীত এক প্রস্তাব। ১৯৭৬ সালের আরবান ল্যান্ড (সিলিং অ্যান্ড রেগুলেশন) আইন সরল করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার কাছে সুপারিশ করেছিল নগরোন্নয়ন দফতর। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয় রাজ্য মন্ত্রীসভা। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।
