নতুন অর্থবর্ষ শুরুর আগেই ফের ধাক্কা দিল মোদী সরকার। স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ০.১ শতাংশ কমিয়ে দিল কেন্দ্র। এর ফলে দেশের মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সঞ্চয়ে বড়সড় প্রভাব ফেলতে চলেছে অর্থমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত ৷ফল আম-আদমির হাঁফফাঁস অবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ডেরেক লিখেছেন, ‘গত ৫ বছরে ক্ষুদ্র সঞ্চয় পরিকল্পনায় সুদের হার কমায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা, যারা তাদের জীবিকার জন্য সুদের হারের ওপর নির্ভর করে। বিজেপি সরকার সকলের জীবন কঠিন করে তুলেছে’।
২০১৪ থেকে এনিয়ে ৪ বার সুদ কমল স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে। এতে আরও সংকটে পড়ল সুদের ওপর যে সব পরিবার নির্ভরশীল পরিবারগুলো। শুধু পিপিএফ নয়, বাকি স্বল্প সঞ্চয় স্কিমেও সুদের হার কমছে৷ অর্থমন্ত্রকের নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্পে কমানো হচ্ছে সুদের হার।
কিষাণ বিকাশ পত্রে ৭.৬ শতাংশ সুদের হারে টাকা ম্যাচিওর হতে সময় লাগবে ১১২ মাস৷ নয়া নির্দেশিকার পর টাকা দ্বিগুণ হতে অতিরিক্ত এক মাস সময় নেবে। সেভিংস ডিপোজিটে বার্ষিক সুদ ৪ শতাংশ এবং এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত টার্ম ডিপোজিটে মিলবে ৭ থেকে ৭.৮ শতাংশ সুদ৷ পাঁচবছরের রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার দাঁড়াল ৭.৩ শতাংশ। সুদ কমছে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনাতে। সুদ বাবদ আয় কমার পাশাপাশি স্টেট ব্যাঙ্কের নতুন নিয়মেও চাপে আম-আদমি। সেভিসং অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম জমা না থাকলে বড় অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে এসবিআই গ্রাহকদের। গ্রামীণ ও শহরতলীর শাখাগুলিতেও চালু হচ্ছে এই নিয়ম। সব মিলিয়ে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে আম-আদমির হাঁসফাঁস অবস্থা হল, সেটা বলাই বাহুল্য।