আজ সকালে প্রয়াত হলেন নকশাল নেতা তথা সাহিত্যিক সন্তোষ রাণা। শনিবার সকাল ছটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। ১৯৪৪ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুরের গোপী বল্লভপুরে জন্ম হয় সন্তোষ রাণার। ছয় এবং সাতের দশকে বাংলার উত্তাল রাজনীতিতে সন্তোষ রাণা একটা নাম। নকশালবাড়ি আন্দোলনে চারু মজুমদারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনানী ছিলেন সন্তোষ। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়েই কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। তারপর মতাদর্শগত যুদ্ধে সশস্ত্র পথকেই বেছে নিয়েছিলেন।
নেপালের মাও নেতা বাবুরাম ভট্টরাই-এর লেখা দলীল ‘সন্ত্রাসের জনযুদ্ধ বনাম গণতন্ত্রের লংমার্চ’-এর স্বপক্ষে কলম ধরেছিলেন সন্তোষ রাণা। রাজনৈতিক সাহিত্যে তাঁর ক্ষুরধার কলম একাধিক কালজয়ী লেখার জন্ম দিয়েছে। গত বছর আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। সন্তোষ রাণার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য তাঁর দেহ দান করা হবে। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার লাইনেই হেঁটেছিলেন সেই সময়ে। সিপিআইএমএল-এর বিধায়ক ও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোপীবল্লভপুর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
রাজনীতির মূল স্রোতে না থাকলেও, নয়ের দশকের পর থেকে তাঁর আগের রাজনৈতিক চিন্তার বদল ঘটতে থাকে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সশস্ত্র পথ ত্যাগ করে সংসদীয় পথ নেওয়ার পর একাধিক নিবন্ধ লিখেছিলেন চারু মজুমদারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই নেতা। আজ তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সাহিত্য জগত।