ধরপাকড়ের নামে বাড়াবাড়ি করছে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড, হেনস্থা করছে উত্তরপ্রদেশের ছেলেমেয়েদের, এই অভিযোগ বারবারই উঠেছে। অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াডের হিরোগিরি নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে’ বুদ্ধিজীবীরাও। যার ফলে এক সময় তা বন্ধ করতে বাধ্য হয় উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। তারপরেও ফের অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড চালু করার নিদান দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তুঙ্গে৷ তারই মধ্যে যোগীর নিদান রাজধানীর বুকে প্রয়োগের দাবি তুললেন বিজেপির মনোজ তিওয়ারি৷
প্রসঙ্গত, মনোজ তিওয়ারি উত্তর পূর্ব দিল্লীর সাংসদ৷ দিল্লীর দলীয় সভাপতিও তিনি৷ রাজধানীতে দিল্লী বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকেই মনোজ বলেন, ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড বেশ ভাল ব্যাপার৷ এটা উত্তরপ্রদেশে ফের চালু হচ্ছে৷ নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই স্কোয়াড চালু হওয়া প্রয়োজন৷ আমার ব্যক্তিগত মতে, দিল্লীতেও এই ধরণের স্কোয়াড চালু হওয়া দরকার৷’ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তর প্রদশের ক্ষমতায় আসেন যোগী আদিত্যনাথ৷ রাজ্যে নারী সুরক্ষার স্বার্থে সেই সময় পুলিশের ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ চালু হয়৷ কিন্তু, নিরাপত্তার নামে বারবার বাড়াবাড়ি ও স্কোয়াডের সদস্যদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের সেই স্কোয়াড৷
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডে’ ছিল একজন করে সাব ইনস্পেক্টর ও চার জন কনস্টেবল। যাদের মধ্যে দু’জন মহিলা এবং দু’জন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকর্মী। পুলিশি উর্দির পাশাপাশি চলত সাদা পোশাকে টহলদারিও৷ কিন্তু অভিযোগ ওঠে, স্কোয়াডের সদস্যরা ইভটিজারদের থেকে মহিলাদের রক্ষা করার পরিবর্তে ছেলে-মেয়েকে রাস্তায় একসঙ্গে দেখলেই এই স্কোয়াড তাঁদের হেনস্থা করত। অপরাধীদের পরিবর্তে পাকড়াও করা হত পার্ক, শপিং মল এমনকী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে জড়ো হওয়া যুগলদের৷