দিন দুয়েক আগে হুমকি ফোন এসেছিল ব্যাণ্ডেলে গুলিতে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা দিলীপ রামের কাছে। পুলিশকে সেকথা জানানো হয়েছিল। দুটো নম্বরও দেওয়াও হয়েছিল পুলিশকে। কিন্তু তারপরেও কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি তৃণমূল নেতাকে। শনিবার এমনই দাবি করলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের।
তৃণমূলের দাবি, দিলীপ রাম চুঁচুড়া-সহ সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন দেখতো৷ এবার বুগলি লোকসভায় জয় পেয়েছে বিজেপি৷ জোড়াফুলের সংগঠনের ভিত নড়িয়ে দেওয়াই বিজেপির টার্গেট ছিল৷ তাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে বলে দাবি তৃণমূলের৷ বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘যে দুষ্কৃতীরা এ কাজ করেছে, তাদের নাম আমি ৪ মাস ধরে সিপি, আইসিকে বলেছি, কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওরা এটাকে ভাটপাড়া বানাতে চাইছে৷ আমার বিধানসভাতে ভোটের পর থেকে ঝামেলা হচ্ছে৷ কমছে না পুলিশের জন্যই৷’
শনিবার সকালে হুগলীর ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন ব্যান্ডেল স্টেশনের ৫নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ রাম। অভিযোগ, সেসময়ই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পিছন দিক থেকে এসে আচমকা দিলীপ রামকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। জখম তৃণমূল নেতাকে কলকাতায় আনার পথেই মৃত্যু হয়৷ প্রতিবাদে আগামীকাল, রবিবার ২৪ ঘন্টা চুঁটুড়া বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে৷
