আজ বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তাসমান সাগরের দুই পাড়ের দুই দেশের লড়াই ঘিরে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। এই দুটি দলই গত বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল। আর সেই খেতাবি লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিল অজিরা।
বহু পরিচিত ট্রান্স-তাসমান দ্বৈরথ। কিউয়িদের হারিয়ে পঞ্চমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চুরমার হয়ে গিয়েছিল কিউয়িদের প্রথমবার কাপ জয়ের স্বপ্ন। এবার তার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের সামনে।
যদিও আগেই সেমি-ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সাত ম্যাচে ছয়টি জয়ের সুবাদে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। যথেষ্ট ভালো ফর্মে রয়েছে নিউজিল্যান্ডও।
চলতি বিশ্বকাপে প্রতিটি বিভাগেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিনচরা। টুর্নামেন্টের এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক দুই রানকারী ব্যাটসম্যান তাঁরা। সাত ম্যাচে ওয়ার্নারের সংগ্রহ ৫০০ রান। আর অধিনায়ক ফিনচ করেছেন ৪৯৬ রান।
দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বৈরথ বহু পুরনো। তার আঁচ পড়ে বাইশ গজের লড়াইয়েও। ঠিক ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের মতো। আর মঞ্চটা যদি হয় বিশ্বকাপের, তাহলে তো কথাই নেই। দুই দলের লড়াই হয়তো শনিবার তাসমান সাগর উপকূলের সমস্ত উত্তাল উন্মাদনাকে টেনে আনবে লন্ডনের লর্ডসে। উত্তেজনার আঁচে ঘি ঢেলেছে গত আসরের ফাইনাল। প্রতিবেশিদের হারাতে পারলে পুরানো ক্ষতে কিছুটা হলেও শান্তির প্রলেপ পড়বে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে পা রাখবে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। তবে বিশ্বকাপে দুই দলের পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে পাঁচবারের বিশ্বকাপ সেরা অস্ট্রেলিয়াই। ক্রিকেটের বৃহত্তম মঞ্চে অজিদের দশটি জয়ের বিপরীতে নিউজিল্যান্ড জিতেছে মাত্র তিনবার।