মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালির শরীর–মন পুষ্ট হয় মাছে–ভাতে৷ মাংস–ডিমেও ‘না’ নেই তাঁর৷ তবে আজকাল স্বাস্থ্যের খাতিরে কেউ কেউ নিরামিষ খাওয়া ধরেছেন, বিশেষ করে বেশি বয়সে৷ কেউ নিরামিষ খান শখে, কেউ প্রাচীন প্রচলিত সংস্কার মেনে বা তিথি–পার্বণে৷
নিরামিষ খাবারের মেনু বাছার সময় খুব সতর্ক থাকা দরকার৷ না হলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে৷ হতে পারে রক্তাল্পতা৷ আবার বেশি তেল–ঘি দিয়ে রাঁধলে ওজন বেড়ে সমস্যা হতে পারে৷ কাজেই ডায়েট প্ল্যান করার সময় সতর্ক থাকা দরকার৷
সাধারণভাবে নিরামিষের নানান প্রকারভেদ আছে৷ সব প্রাণীজ খাবার, এমনকি দুধ, মধুও বাদ দেওয়া হয় যে নিরামিষ খাবারে, তার নাম ‘ভেগান ডায়েট’৷ ল্যাক্টো–ভেজিটেরিয়ান ডায়েটে উদ্ভিজ্জ খাবারের পাশাপাশি দুধজাত খাবার থাকে৷ ওভো–ল্যাক্টোভেজিটেরিয়া দুধ–ডিম খেতে পারেন৷ আবার সেমি–ভেজিটেরিয়ানরা আবার রেড মিট ছাড়া সব খান৷ কিভাবে কি খেলে শরীর সুস্থ থাকে তার একটা লিস্ট রইলো
ডায়েট প্ল্যান
স্বাদ ও স্বাস্থ্যের গোড়ার কথা হল বৈচিত্র৷ ঘরে বানানো সব রকম খাবার একটু বুঝেশুনে খেলে ও কয়েকটি খাবার বাদ দিলে পুষ্টি নিয়ে টেনশন করার কিছু থাকে না৷ কী করতে হবে আর কী করবেন না তা জানেন? রইল কিছু জরুরি টিপ্স।
খাদ্যতালিকায় খোসাওয়ালা ডাল, ব্রাউন ব্রেড, ব্রাউন রাইস, টাটকা ও শুকনো বিন, রাজমা, ছোলা, মটর, সোয়াবিন, রঙিন শাক–সব্জি, বাদাম, সবজির বীজ, দুধ, দই, ছানা, ইত্যাদি রাখুন৷ দু’–একটা করে ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খান৷ পর্যাপ্ত প্রোটিন পাবে শরীর৷
বিন, পালং, আয়রন ফর্টিফায়েড খাবার, শুকনো ফল খেলে রক্তাল্পতা কম হবে৷
ভাতের পাতে লেবু বা মূল খাবার খাওয়ার পর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কোনও ফল, যেমন, আমলকি, পেয়ারা, কমলা, সবেদা ইত্যাদি খেলে খাবারের আয়রন সহজে ঢুকবে শরীরে৷
আমিষ না খেলে ভিটামিন বি১২–এর ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক৷ সেই ঘাটতি মেটাতে খান ভিটামিন বি১২ ফর্টিফায়েড খাবার, যেমন, ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, সয়া মিল্ক ইত্যাদি৷ সাপ্লিমেন্টও খেতে হয় কখনও৷ তবে তা অবশ্যই পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে।
গায়ে রোদ বিশেষ না লাগলে ভিটামিন ডি–এর অভাব হতে পারে৷ সে অভাব মেটাতে ১০–৩টের মধ্যে ১৫–২০ মিনিট গায়ে রোদ লাগান৷ ভিটামিন ডি ফর্টিফায়েড দুধ বা সয়া মিল্ক খেলে কিছুটা কাজ হবে৷