লোকসভা নির্বাচনের মুখে সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু এবার দেখা গেল, তা ছিল আদতে এক জুমলা। কারণ ইপিএফ-এর সুদ নিয়ে অর্থমন্ত্রকের তরফে শ্রমমন্ত্রকের কাছে পাঠানো একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে তৈরি হল আশঙ্কা। জানা গেছে, জুন মাসে পাঠানো ওই চিঠিতে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-কে সুদের হার পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। ইপিএফও-নথিভুক্ত ৮.৫ কোটি কর্মীর ভবিষ্যনিধি খাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল ইপিএফওর অছি পরিষদ। সেটা না করে পুরনো হারে সুদ দেওয়ার পরামর্শ অর্থমন্ত্রকের। তবে এমনটাও জানা গিয়েছে যে, ইপিএফও এখনও পর্যন্ত সেই পরামর্শ মানতে নারাজ।
গত ১২ জুন শ্রমমন্ত্রককে পাঠানো ওই চিঠির সূত্র ধরেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইপিএফে সুদ কমতে পারে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ দিয়েছিল ইপিএফও। চলতি অর্থবর্ষে সেই সুদের হার ০.১০ হারে বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে বাড়ানো সুদের হার পুরনো জায়গায় রেখে দেওয়ার প্রস্তাবে স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে। কিন্তু কেন সুদের হার না বাড়ানোর প্রস্তাব? অর্থমন্ত্রকের যুক্তি, ইপিএফও তহবিলে বিনিয়োগ থেকে যা রিটার্ন পাওয়া গেছে তা দিয়ে কর্মীদের ওই হারে সুদ দেওয়া উচিত হবে না। তাই এনিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। যা হবে বাজেটের পরে। কারণ, বাজেট অধিবেশনের পরেই ইপিএফও-র অছি পরিষদের সঙ্গে আলোচনা হবে অর্থমন্ত্রকের। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু মোদীর কাছে ‘আচ্ছে দিনে’ হলেও আশাহত সরকারি কর্মীরা।