লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। গোটা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। তবে এরই মধ্যে খোদ পদ্মশিবিরের অন্দরেই চলছে ব্যাপক গোষ্ঠীকোন্দল। বিজেপির ভিতর ও বাহিরে অন্দরে-অন্দরে এখন লড়াই চলছে ‘পুরনো’ বিজেপি বনাম ‘নতুন’ বিজেপির। এবার যেমন সিতাইয়ে বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মণের গ্রেফতারের পর কোচবিহারে প্রকাশ্যে চলে এল নব্য এবং আদি বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল।
বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মনকে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিতাই থানার পুলিশ। প্রশান্ত বর্মণকে গ্রেফতার করার পর শুক্রবার সকালে স্থানীয় আদি বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সিতাই থানার সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, থানায় বাইরে যখন প্রশান্ত অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় সদ্য বিজেপিতে আসা বিজেপি কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার জেরে সিতাই থানার সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সিতাই থানার পুলিশ।
সদ্য বিজেপিতে আসা নব্য বিজেপি কর্মী মনোজিত রায় অভিযোগ করেন, প্রশান্ত বর্মন সিতাই ব্লকে অশান্তি করছে। পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে এসেছে তাঁর শাস্তি হোক আমরা চাই। বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মণের সমাজ বিরোধী কাজের সাথে যুক্ত থাকার কথা বিজেপি কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায়ও স্বীকার করে নিয়েছেন। যার ফলে ‘নব্য’ এবং ‘আদি’ বিজেপির মধ্যেকার ফাটলটা আরও পরিষ্কার।