মেয়েকে গণধর্ষণ হওয়ার হাত থেকে বাঁচান ৪৮ বছরের মা। সেই ‘অপরাধে’ জুটল নির্মম শাস্তি। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে, মাথা ন্যাড়া করে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম। বাদ গেল না মেয়েও। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলার ভগবানপুর এলাকায়। জানা গেছে, ১৯ বছরের সদ্যতরুণীকে গণধর্ষণ করতে এসেছিল দুষ্কৃতীর দল। আর তার পুরোভাগে ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর! তবে সঙ্গে মা থাকায় প্রবল মার খেয়ে মেয়েকে কোনও ক্রমে গণধর্ষণে হাত থেকে বাঁচান তিনি। যদিও সেই ‘অপরাধে’ নির্মম শাস্তি পেতে হয় মা-মেয়ে দুজনকেই।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সকলে। মা-মেয়ের ওপরে নৃশংস অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দায় সরব হন সকলে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ৭ জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন মূল অভিযুক্ত, এলাকার কাউন্সিলর মহম্মদ খুরশিদ। অভিযোগ, তারই নেতৃত্বে মেয়েটির বাবার অবর্তমানে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। একদল লোক ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাতে সর্ব শক্তি দিয়ে বাধা দেন তাঁর মা। যদিও তাঁকে বেধড়ক মার খেতে হয়।
ভগবানপুর থানার অফিসার সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, ঘটনাটি সত্যি বলেই জেনেছেন তাঁরা। সেই মতো সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয়েছে অভিযুক্তরা। তিনি জানান, ৪৮ বছরের ওই মা-কে মারধরের পর তাঁদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরে তারা ফের ফিরে আসে, সঙ্গে এক নাপিতকে নিয়ে। জোর করে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে সারা গ্রামে ঘোরায় তারা। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ আচমকাই হামলা করা হয় ওই মা-মেয়ের উপরে। কাউন্সিলর খুরশিদ দলবল নিয়ে এসে দাবি করে, তাঁরা নাকি অবৈধ ভাবে মাংস বিক্রির ব্যবসা করছে।