ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা-শিল্পক্ষেত্রের পাশাপাশি পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে ব্রতী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটন ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নানা উদ্যোগ দেখেই উৎসাহী হয়ে সুন্দরবনের ঝড়খালি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ। ইতিমধ্যেই রিসর্টের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এবং দ্রুতই পর্যটকদের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানিয়েছেন।
তৃণমূলের সমীর কুমার জানা ঝড়খালি পর্যটন কেন্দ্রের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চান। পাশাপাশি এই কেন্দ্রে আকর্ষণীয় করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘ঝড়খালি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প পর্যটন বিভাগ একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। এটা পিপিপি মডেল হচ্ছে। পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য সড়কপথ তৈরি করেছে, পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে। বিদ্যুতায়ন-সহ একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ সফলভাবে শেষ করেছে।
এর পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, এই পর্যটন কেন্দ্রকে আকর্ষণীয় করতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগও এসেছে। যেমন স্টার, হাই এন্ড, বাজেট ক্যাটাগরি রিসর্ট নির্মাণ, আর্ট এন্ড ক্রাফট ভিলেজ, মৎস্যজীবীদের গ্রাম, নেচার পার্ক-সহ একাধিক পর্যটনবান্ধব পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সেখানে একটি মিউজিয়াম তৈরির ভাবনা আছে। এর ফলে সুন্দরবনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিকাশ ঘটে।
ঝড়খালির এই প্রকল্পকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমীর কুমার জানা। তিনি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ঝড়খালি শুধু নয়, বঙ্গোপসাগরের কাছে গোবর্ধনপুরে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে। মন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো। পর্যটন দফতর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে। সুন্দরবন-সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনেক জায়গায় কাজ চলছে।’
পর্যটন মন্ত্রী আরও বলেন যে, ‘সুন্দরবন, বকখালি, সাগর, সজনেখালি, ফ্রেজারগঞ্জ নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সুন্দরবনে যাওয়া এখন খুব সহজ হয়ে গেছে। হাতানিয়া-দোয়ানিয়া সেতু হয়েছে। ফলে সময় কম লাগে। কলকাতা থেকে দুটি জলযান সুন্দরবনের যায়। সুন্দরবন-সহ অন্যান্য জায়গায় পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। পুজোর সময় শীতকালে প্রচুর পর্যটক এখন বাংলার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে যাচ্ছে।’