একজন সক্রিয় প্রবীণ তৃণমূল কর্মীকে এলাকার বাইরে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জি (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বড়নীলপুর এলাকার বেচারহাটে। তাঁর বাড়িতে মঙ্গলবার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তালা লাগিয়ে দেয় বিজেপি। এরপরই বুধবার সকালে বর্ধমান থানার চৈত্রপুর থেকে ওই তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। তারপর দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে কার্জন গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। অবস্থা সামাল দিতে পুলিশ টহল দিচ্ছে এলাকায়। এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূল নেতা খোকন দাস বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকেই দলের সক্রিয় কর্মী পূর্ণেন্দুবাবুর বাড়িতে বিজেপি–র লোকেরা হামলা চালায়। তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর তাঁদের বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেয় তারা”।
মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী সন্ধ্যা চট্টোপাধ্যায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “গতকাল আমাদের বাড়িতে এসে বিজেপি–র লোকেরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে ঝামেলা করেছে। তারা আমাকে আর আমার ছেলেকে মারধর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দেয়। তখন আমরা বাপের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই। ওই সময় আমার স্বামী বাড়ি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে দিতে গিয়েছিলেন। গতকাল হাওড়া থেকে বর্ধমান ফিরছিলেন। কিন্তু তিনি রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। এদিন সকালে আমরা খবর পাই, চৈত্রপুর এলাকায় তাঁকে খুন করে একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আমার স্বামীকে খুন করেছে”।