একটা একটা স্বর জুড়ে তিনি তৈরি করেছিলেন একটা সুরের বাড়ি। সেই বাড়িতে ছিল এক সুরের ছায়াও। যেখানে একে একে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলিউডের তাবড় তাবড় গায়ক গায়িকারা। যে বাড়িতে নতুন ছন্দের সৃষ্টি হত, নতুন ভাবনা, নতুন শব্দ দিয়ে একের পর এক গান তৈরি হত, আর যিনি তৈরি করতেন ভালো থাকার সুর আর ছন্দ, সেই মানুষটির আজ ৮০তম জন্মবার্ষিকী। আর মানুষটির নাম আর. ডি. বর্মণ।
বলিউডে গানের ধারাটাই বদলে দিয়েছিলেন এক বাঙালি। তাঁর সুরের ছোঁয়ায় প্রায় সব গানটি সুপারহিট। সময়ের চৌকাঠ পেরিয়ে যে সব গান আজও এভারগ্রিন। হয়তো আমাদের পরের প্রজন্মের মুখে মুখেও তাঁর সৃষ্ট গান থেকে যাবে।
১৯৫০-এর দশকে বলিউডের গানের জগতে তাঁর প্রথম পা রাখা। সুরের সম্রাট শচীন দেব বর্মনের ছেলে হিসেবে তাঁর থেকে মানুষের প্রত্যাশা ছিল আকাশ ছোঁয়া। সেই মতো তিনি নিজেকে মেলেও ধরেছিলেন। তারপর বাবার পরিচয় থেকে বেরিয়ে নিজেই তৈরি করে ফেলেছিলেন নিজের সুরের রাজপ্রাসাদ। আর ডি বর্মন থেকে তিনি হয়ে উঠলেন পঞ্চম দা। তৈরি করলেন একের পর এক অবিস্মরণীয় সব গান। উস্তাদ আলি আকবর খান এবং আশিষ খানের যোগ্য শিষ্য আর ডি বর্মনের সৃষ্টি গানের সম্ভার থেকে কোনও একটিকে প্রিয় বলে বেছে নেওয়া প্রায় অসম্ভব।
আজ সুরের জাদুকরের জন্মদিনেই ৩৬/১ সাউথ এন্ড পার্কে আর. ডি. বর্মনের কলকাতার বাড়িতে যাতে মিউজিয়াম করা হোক যেখানে রাহুল দেব বর্মনের সঙ্গীত নিয়ে বিশেষ কাজ কিংবা দুস্প্রাপ্য কিছু ছবি দিয়ে সংগ্রহশালা তৈরি করা যেতে পারে দাবি জানিয়েছেন একাংশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে রাজ্যের কাছে এই হেরিটেজ বাড়িটিকে মিউজিয়াম বানানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এই বিশেষ দিনেই অনুরোধ করেছেন পঞ্চম অনুরাগীরা।