ভিনধর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম’ না বললেই, তাঁদের ‘উচিৎ শিক্ষা’ দেওয়ার যে ধারা দেশ জুড়ে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের ‘ভক্ত’রা, এখনও পর্যন্ত তাঁর শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় এক মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল আসামের বরপেটায়। বাদ যায়নি দেশের রাজধানী দিল্লীও। সেখানেও ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় আক্রান্ত হতে হয় এক মুসলিম যুবককে। তবে ইদানীং কালে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে নৃশংস ঘটনার সাক্ষী ঝাড়খণ্ড৷ সেখানে একটানা ১৮ ঘণ্টা গণপিটুনিতে মুসলিম যুবক তবরেজ আনসারির(২৪) মৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। তবে এর মধ্যেই সামনে এল আরও একটি খবর। জানা গেছে, ১৫ বছর আগে এভাবেই গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছিল তবরেজের বাবা মাসকুর আলম। ‘চোর’ সন্দেহে তাঁকে পিটিয়ে মেরেছিল উন্মত্ত জনতা।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জামশেদপুরের বাগবেরা অঞ্চলে নাকি চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন মাসকুর। তারপরই উত্তেজিত জনতা তাঁকে পিটিয়ে মারে। সেটাও আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগের ঘটনা। তবরেজের বাড়ির কাছাকাছি থাকা এক বৃদ্ধা সেই দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তবরেজের বাবাকেও এভাবে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছিল। উন্মত্ত জনতা তার গলা কেটে দিয়েছিল। ওর মৃতদেহ যখন এখানে নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা এখানেই ছিলাম।’ সমাজকর্মী সুবোধ কুমার ঝা জানান, ‘চোর সন্দেহে বাগবেরার রামনগর এলাকার লোকজন এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে, তারপর তাঁকে পিটিয়ে মারে।’ তবরেজের মৃত্যুর তদন্তে নেমে ২০০৪ সালের নভেম্বরে ঘটা ওই ঘটনার তথ্যগুলিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।