কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে ক্ষুর চালানোয় উত্তপ্ত হল দুর্গাপুর। এলাকার লোক সেই দুষ্কৃতীকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাউন্সিলর বলেছেন, “ওই দুষ্কৃতী আগে সিপিএম করত। বর্তমানে সে বিজেপি করে। বিজেপির নির্দেশে দুর্গাপুরকে অশান্ত করার জন্য এই হামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করে বলেছে, তাকেই পথ আটকে প্রতিদিন মারধর করা হয় এবং ঘটনার দিনও করা হয়েছে। যদিও এলাকার মানুষ দুষ্কৃতীর অভিযোগকে বিশেষ আমল দেননি। দুর্গাপুরের এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার প্রতিদিনের মতো এদিনও গ্যামন ব্রিজে আড্ডা মারতে আসেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। অভিযোগ, সেই সময় কালী মিশ্র নামে এক দুষ্কৃতী হাতে ক্ষুর নিয়ে কাউন্সিলরের গলা টার্গেট করে চালিয়ে দেয়। ক্ষুর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কাউন্সিলরের হাতে লাগে। কাউন্সিলরের সঙ্গীরা কালী মিশ্রকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার বলেন, “কালী মিশ্র আগে সিপিএম করত, এখন বিজেপি করে এবং বিজেপির নির্দেশে খুন করতে এসেছিল।” তবে তাঁর উপরে কেন আক্রমণ সে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান জানা নেই বলে।
এদিকে অভিযুক্ত জানায়, তাকে প্রতিদিন রাস্তায় আটকে মারধর করা হয় এবং আজকেও মারধর করা হয়েছে। একের পর এক নগর নিগমের কাউন্সিলরদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় সেখানকার। বিজেপি নেতৃত্বও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাখী তিওয়ারি, শশাঙ্খশেখর মণ্ডল, আলো সাঁতরার পর এবার খবরের শিরোনামে সুভাষ মজুমদার।