মহেন্দ্র সিং ধোনির অফ ফর্ম কোহলিকে আরও চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। আফগানিস্তান ম্যাচে মাহি ৫২ বলে মাত্র ২৮ রান করেছিলেন। তাঁর এমন মন্থর ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করতে ছাড়েননি কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরও। তা সত্ত্বেও টিম ম্যানেজমেন্ট ধোনির উপর আস্থা রাখছেন। আজকের ম্যাচে তাই বেশ চাপে ধোনি। আর তাই চাপ কাটাতে সুইপ মারার মহড়া নিচ্ছেন ধোনি।
নেট প্র্যাক্টিসে ধোনিকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল, হয় দলের পক্ষ থেকে বার্তা গিয়েছে তাঁর কাছে আর নয়তো নিজেই বুঝে গিয়েছেন, এই ব্যাটিং দিয়ে চলবে না। ধোনি স্পষ্ট বুঝছেন এতটা মন্থর ব্যাটিং করলে প্রতিপক্ষ বোলাররাও তো মাথায় চেপে বসবে। তাতে পুরো ব্যাটিং বিভাগ চাপে পড়ে যাবে। তাই অনুশীলনেই ধোনি সতর্ক তাঁর ব্যাটিং ভঙ্গি দলের মধ্যে না সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়!
আফগানিস্তানের স্পিনারদের বিরুদ্ধে ঠোক্কর খেতে খেতে ৫২ বলে ২৮ করেছিলেন ধোনি। তার পর বুধবার নেট প্র্যাক্টিসে তাঁকে সুইপ শট মারার চেষ্টা করতে দেখা গেল। যে শট তিনি সচরাচর খেলেনই না। এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক হওয়ার লক্ষণ। আর হেড কোচ শাস্ত্রীকে দেখা গেল, তীক্ষ্ম নজর রেখে যাচ্ছেন ধোনির ব্যাটিংয়ের উপরে। হালফিলে প্রচুর ‘ডট’ বল খেলছেন ধোনি। খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ক্রিজে আটকে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ধোনি এখনও বড় শট খেলে দিতে পারবেন। কিন্তু খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখা এবং স্ট্রাইক ঘোরানোর কৌশল হারিয়েছেন তিনি। এ দিন নেটে ব্যাটিং করার ধোনিকে দেখা গেল, প্রত্যেকটা বলেই স্কোরিং শট খেলার চেষ্টা করছেন। আফগানিস্তান ম্যাচের মতো একেবারে ‘ডেড ব্যাট’ এগিয়ে দিচ্ছিলেন না।
যদিও সাউদাম্পটনে ধোনির অতি মন্থরতার পিছনে আরও একটা যুক্তি কেউ কেউ দেখাচ্ছেন। ভুবনেশ্বর চোট পেয়ে বাইরে থাকায় ভারতের লেজ অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল। কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহাল, মহম্মদ শামি এবং যশপ্রীত বুমরার কেউ ব্যাট হাতে অবদান রাখার মতো নয়। ধোনিকে তাই খুব সতর্ক থাকতে হয়েছিল, না হলে পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হত। ম্যাঞ্চেস্টারে আসার পরে দু’দিন প্র্যাক্টিস করল ভারতীয় দল। মঙ্গলবার কোহলি আসার পরে এ দিন আর আসেননি। রবীন্দ্র জাডেজাকে ব্যাটিং করিয়ে রাখা হল।
এখনও পর্যন্ত একটাও ম্যাচ না খেলা জাডেজাকে যদি খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়, নিঃসন্দেহে নীচের দিককার ব্যাটিংয়ে আবার হিমোগ্লোবিন যোগ হবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দলে কোনও পরিবর্তন হওয়া কঠিন। সেই বিজয় শঙ্করের উপরেই আস্থা রাখার কথা শোনা যাচ্ছে, সেই কুল-চা জুটিকেই ধরে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঋষভ পন্থকে দেখা গেল প্রচুর কিপিং প্র্যাক্টিস করলেন। পন্থের চেয়ে দীনেশ কার্তিককে বেশি গুরুত্ব সহকারে ব্যাটিং প্র্যাক্টিস করানো হল। একাংশের মতে, অতীতে ইংল্যান্ডে ভাল খেলা কার্তিক চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খুব খারাপ পছন্দ নন। এমন মত যদি গরিষ্ঠতা অর্জন করতে শুরু করে, বিশ্বকাপে পন্থের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে যাচ্ছে।