ফের আত্মহত্যা। আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীতে নাম না-থাকায় এবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক নাবালিকা। বুধবার এনআরসি-র অতিরিক্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে অসম সরকার। সেটিতে নাম নেই দেখে ১৪ বছরের কিশোরীর ধারণা হয়, সেটিই এনআরসি -র চূড়ান্ত খসড়া। কাজেই নিজের গায়ে ‘বিদেশি’ তকমা লাগার আশঙ্কায় গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।
বুধবার প্রকাশিত তালিকায় এনআরসি -র খসড়া থেকে বাদ পড়েন আরও লক্ষাধিক মানুষ। নয়া তালিকায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জী থেকে বাদ দেওয়া হয় ১,০২,৪৬২ জনকে। গত বছর ৩০ জুলাই প্রকাশিত খসড়ায় এঁদের নাম ছিল। অথচ আচমকাই তাঁরা অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তাঁদের নাম বাদ পড়েছে এনআরসি-র নয়া খসড়া থেকে।
এই তালিকা নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয় অসমের দারাং জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম রৌমারি চাপোরির বাসিন্দা নুর জাহান বেগমের মধ্যে। তার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালে অসম সরকার প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর তালিকায় নুরের নাম ছিল না। তবে চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম থাকবে বলে সে আশাবাদী ছিল। যখন সরকার আরও লক্ষাধির মানুষকে বাদ দিয়ে আর একটি তালিকা প্রকাশ করল, নুর ও তার পরিবার মনে করে সেটিই চূড়ান্ত তালিকা। নুরের বাবা রৌমারি এনআরসি সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন তালিকায় তাঁর মেয়ের নাম নেই। সে কথা নুরকে ফোনে জানানোর পরই ও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।’
নুরের পরিবারও জানিয়েছে, এটিই যে চূড়ান্ত তালিকা নয় তা তারা বুঝতে পারেনি। যদিও একে এখনই এনআরসি-র কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বলতে চাননি দারাঙের পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।