প্রায় ৬ মাস আগে কোচির মুনাম্বাম বন্দর থেকে ২৪০ জনের বেশি ভারতীয় একটি জাহাজে চেপে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু যাত্রা শুরুর পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই ১০০ ভারতীয়র। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ১০০ ভারতীয় নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে চলা তল্লাশি অভিযানেও ফল না মেলায় এবার নিখোঁজদের বিরুদ্ধে ‘ব্লু-কর্নার নোটিস’ (বিসিএন) জারি করল ইন্টারপোল। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
তদন্তকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে কিছুদিন আগে, এক নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার জানায়, ওই দলের এক সদস্য তাঁদের ফোন করেছিল। সেই ফোনটি আলজেরিয়া থেকে এসেছিল বলে জানানো হয়। পাশাপাশি, জাহাজটি অস্ট্রেলিয়ার দিকে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছিল। যদিও, আলজেরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দেশের সরকারই জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের কোনও যাত্রীবাহী জাহাজ, তাদের কোনও বন্দরে নোঙর করেনি।
আন্যদিকে, কেরালার প্রশাসনও জানিয়েছে ওই দুই দেশে জাহাজটির যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সরকারি আধিকারিকদের মতে, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তাতে জাহাজটির গতিপথ নিয়ে ধোঁয়াশা কমার বদলে আরও বেড়ে গিয়েছে। অনেকে মনে করছেন জাহাজটি মাঝসমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে থাকতে পারে জাহাজটি। তবে সেক্ষেত্রে কোনও না কোনও জলযান ওই জাহাজের ধবংসাবশেষ দেখতে পেত। আবার এটাও বলা হচ্ছে, যে উপকূলরক্ষীদের নজর এড়াতে ছোট নৌকায় করে ওই যাত্রীদের অন্য কোনও জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনেক সময় কোনও ব্যক্তি অপরাধ করে অন্য দেশে পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ইন্টারপোল ব্লু কর্নার নোটিস জারি করে। এই নোটিস জারি হলে, ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা, তার পরিচিতি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ-সহ একাধিক সুবিধা পায় সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসন।
প্রায় ৬ মাস আগে কোচির মুনাম্বাম বন্দর থেকে ২৪০ জনের বেশি ভারতীয় একটি জাহাজে চেপে যাত্রা শুরু করেন। অভিযোগ, অবৈধভাবে তাঁদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। জাহাজটি যাত্রা করার পর থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ নেই। এই ঘটনায় ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় কেরল পুলিশ। তারা ১২০ জনের জন্য আবেদন জানালেও, ১০০ জনের নামে নোটিস জারি করেছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা।