এখনো এক সপ্তাহ হয়নি জিডি বিড়লায় কৃত্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার। তাঁর মধ্যেই ফের দক্ষিণ কলকাতার এক নামী স্কুলের শৌচালয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করল ক্লাস টেনের এক ছাত্রী। তবে কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
হতাশাগ্রস্ত ছাত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন সে এমনটা করল? জবাবে সে জানিয়েছে, ‘আমাকে কেউ ভালোবাসে না। আমার জন্য কারও সময়ই নেই। সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত।’ মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী স্কুলের শৌচালয়ে এই চরম পদক্ষেপ করে ওই ছাত্রী। গত শুক্রবার জিডি বিড়লার ছাত্রী কৃত্তিকা পাল স্কুলের শৌচালয়ে হাতের শিরা কেটে মুখে প্লাস্টিক বেঁধে আত্মহত্যা করে। পরের ঘটনাটিতেও একইভাবে স্কুলের শৌচালয়ে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রীটি। নিজেকে শৌচালয়ে বন্ধ করে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কাটে সে।
কৃত্তিকার মতোই ক্লাসে টপার এই মেয়েটিও। তবে হতাশায় ভোগার জন্য তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার সে ওষুধ খায়নি। তবে শিক্ষকরা এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। তাঁদের কথায়, “বাচ্চাটা খুব আনন্দেই থাকে। ওর বয়সি মেয়েদের মতোই স্বাভাবিক ব্যবহার লক্ষ করেছি। আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি”। ঘটনার পর স্কুলের তরফে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি কলকাতার বাইরে থাকায় স্কুলে যান মেয়েটির মা।
৩টে নাগাদ ক্লাস শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর মেয়েটি শৌচালয়ে যায়। সিসিটিভির মনিটরিং-এর দায়িত্বে থাকা স্কুলকর্মী যখন লক্ষ করে যে ৬ মিনিট পরেও মেয়েটি শৌচালয় থেকে বেরোচ্ছে না, তিনি ছুটে যান শৌচালয়ে। দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। সৌভাগ্যবশত তার ক্ষত গভীর ছিল না। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।