ফের গোরক্ষার নামে মুসলিম যুবকদের বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি শাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামে। গত মাসে মধ্যপ্রদেশের সিওনীতে গোমাংস রাখার অভিযোগে রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয় এক মহিলা ও দুই যুবককে। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল বিজেপির হরিয়ানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামপুর গ্রামের কাছে দু’টি পিক আপ ভ্যানকে আটকায় এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে গোমাংস রাখার অভিযোগে ভ্যান চালক দু’জনকে টেনে হিঁচড়ে নামায় এক দল যুবক। তার পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শুরু হয় লাগামছাড়া মারধর। অভিযোগ, ভ্যানে করে গরুর মাংস পাচার করছিল তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় দুই যুবককে। আক্রান্তদের কাছ কয়েক কেজি মাংস উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাংসের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গুরুগ্রাম পুলিশের পিআরও সুভাষ বোকান জানিয়েছেন, ধৃতদের নাম শাথিল আহমেদ ও তায়েদ। পালওয়াল জেলার বাসিন্দা। তাদের জেরা করা চলছে। আটক করা হয়েছে ভ্যান দু’টিকেও।
স্থানীয় সবিতা কাটারিয়ার দাবি, ওই দুই যুবক ভ্যানে করে গরুর মাংস পাচার করছিল দিল্লীতে। খবর পেয়েই তাদের থামায় গ্রামবাসীরা। তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
গত বছর রাজস্থানের আলওয়ারে গরু পাচারকারী সন্দেহে এক জনকে পিটিয়ে মারে স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনী। ২০১৭-র ৫ এপ্রিল আলওয়ারেই শ-দুয়েক স্বঘোষিত গোরক্ষক পেহলু খান-সহ সাত জনকে বেধড়ক মারধর করে। বাকি ছ’জন প্রাণে বাঁচলেও, মৃত্যু হয় পেহলু খানের। সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। এমনকী, সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। স্বঘোষিত এই গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিরোধীরা। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। কিন্তু তার পরও গোরক্ষার নামে গণপিটুনিতে মৃত্যু আটকানো যায়নি। গত দু’বছরে এই ধরনের ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।