অবশেষে প্রতীক্ষার পালা শেষ। আগামী জুলাই মাসেই চালু হতে চলেছে কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। মেট্রো রেলেরই এক আধিকারিক জানিয়েছেন একথা। প্রথম পর্যায়ে এই মেট্রো চলবে সেক্টর ফাইভ স্টেশন থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম স্টেশন পর্যন্ত। মেট্রোর ওই আধিকারিক বলেন, “রেক, রেললাইন এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থা সব কিছুই আমাদের প্রস্তুত। স্টেশনগুলিও একেবারে তৈরি। সামনের মাসে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) পরীক্ষা করে দেখার পর আমরা আশাবাদী ওই মাসেরই শেষের দিকে আমরা বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিষেবা চালু করতে পারব।”
হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হয়ে গঙ্গার তলা দিয়ে এই মেট্রো চলবে সেক্টর ফাইভ স্টেশন পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ে যে পথটি মেট্রো যাতায়াত করবে সেই পথটুকুই মাটির ওপর। বাকি পথের পুরোটাই গেছে মাটির নীচ দিয়ে। সুভাষ সরোবরের কাছ থেকে মাটির নীচে ফুলবাগান স্টেশনে ঢুকে যায় যাবে মেট্রো। সাম্প্রতিক অতীতে ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখে নিয়েছেন মেট্রো কর্তারা। পরীক্ষা সফল বলেই সংবাদমাধমে জানিয়েছেন তাঁরা।
রেলের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম দিকে ২০ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন চালানো হবে। ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। সবকটি রেকই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল) থেকে এই রেকগুলি আনা হয়েছে। মোট ১৪টি রেকের ভেতরে এরই মধ্যে চলে এসেছে ১১টি রেক। সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে ট্রেন। দু’দিক থেকেই শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। মাটির নীচে প্রতিটি স্টেশনই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।
আত্মহত্যার ঘটনার জন্য কলকাতা মেট্রোতে মাঝে মাঝেই ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই প্রবণতা আটকাতে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে বসানো হয়েছে ‘স্ক্রিন ডোর’। যা ডিঙিয়ে কোনওভাবেই রেললাইনের কাছে পৌঁছতে পারবেন না কোনও যাত্রী বা অন্য কেউ। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পর একসঙ্গে ট্রেনের দরজা এবং স্ক্রিন ডোর খুলবে। ওই আধিকারিকের কথায়, “এর পরে ট্রেন চলবে শিয়ালদহ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে ট্রেন যাবে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত। যেটার কাজ এখন চলছে। আশা করা যায়, আগামী ১ বছরের মধ্যেই আমরা সেই লাইনে যাত্রী পরিষেবা চালু করে দিতে পারবো।”