পুলিশের দাপট কাকে বলে, উত্তরপ্রদেশ আগেই দেখিয়ে দিয়েছে৷ এবার যোগীর রাজ্যের আইনরক্ষকদের আরও এক নৃশংসতা সামনে এল৷
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়ির যাত্রীদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে আছে পুলিশ। যাত্রীরা দুই হাত মাথার ওপরে তুলে দাঁড়িয়ে আছেন। গাড়িতে তল্লাশি চলছে। উত্তরপ্রদেশের বদাউন জেলার ঘটনা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পুলিশ যে কোনও গাড়িকে ওইভাবে বন্দুক দেখিয়ে থামাতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভিডিওটি তোলা হয়েছে ওয়াজিরগঞ্জে বাগরেন ফাঁড়ির কাছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহুল কুমার শিশোদিয়া বন্দুক হাতে গাড়ির যাত্রীদের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, হাত তুলে দাঁড়াও। খবরদার! হাত নামালেই গুলি করব। রাহুলকে ঘিরে আছেন কনস্টেবলরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘পুলিশ রোজ ওইভাবে গাড়ি থামায়। গাড়িতে সার্চ করে। গাড়ির চালক মহিলা হলেও ছাড় দেয় না। তাঁর কথায়, আপনি যদি গাড়ি চালিয়ে যান, পুলিশ ইচ্ছা করলেই বন্দুক দেখিয়ে আপনাকে থামাতে পারে। সাধারণ মানুষের পক্ষে ব্যাপারটা বেশ ভীতিকর’। স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল কুমার আগরওয়াল বলছেন, ‘ধরুন, আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন৷ দেখলেন, বন্দুক হাতে পুলিশ এসে আপনাকে থামাচ্ছে৷ এবং তারপর একেবারে জঘন্য ব্যবহার করছে৷ মহিলাদেরও ছাড়ছে না৷ আমাদের খুব অপমানিত হতে হচ্ছে৷’
পুলিশ অবশ্য নিজেদের কৃতকর্মের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে বলছে, ‘বাদাউন অত্যন্ত অপরাধপ্রবণ এলাকা৷তাই আমরা এভাবেই তল্লাশি করি৷’ বাদাউনের এসএসপি অশোক কুমার ত্রিপাঠির কথায়, এটা ‘ট্যাকটিকাল টেকনিক৷’ অপরাধীদের একেবারে নরমেগরমে শায়েস্তা করার কৌশল মাত্র৷ যাতে কোনওভাবেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে না পারে৷ পুলিশের ডিজি অবশ্য জানিয়েছেন, কেন বন্দুক দেখিয়ে গাড়ি থামানো হচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
সমাজকর্মীরা বলছেন, আইনরক্ষকদের তো প্রাথমিক কর্তব্য, সহনাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান৷ তাঁদের ভয় দেখানো বা অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা তো অপরাধ৷ যোগীর রাজ্যে আইনরক্ষকদের এই অপরাধের বিচার করবে কে?