এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে এক তৃণমূল নেতা–সহ ৬ তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বড়নীলপুর এলাকায়। রবিবার রাত থেকে দফায় দফায় এই হামলার ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান শহরের একাংশে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এই ঘটনার পরই বর্ধমান থানায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবারের পর ফের সোমবার সকালে হামলা–মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি–র বিরুদ্ধে।
তৃণমূল নেতা খোকন দাস বলেন, “এদিন সকালে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পম্পা পালের স্বামী অনন্ত পাল যখন তাঁর ছেলেকে নিয়ে স্কুল যাচ্ছিল, তখন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। দলের ছেলেদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। আমরা বর্ধমান শহরে শান্তি চাই। আমরা মারামারি করতে চাই না। তাই আমরা চাই না বর্ধমান শহরটা ভাটপাড়া হোক। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ভাটপাড়া করেছেন। আমরা বিজেপি–কে বর্ধমান শহরকে ভাটপাড়া করতে দেব না। তাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে”।
এদিকে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোমবার বর্ধমান থানায় স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। বর্ধমান পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামী তৃণমূল নেতা অনন্ত পাল পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “১২ নম্বর ওয়ার্ডে বড়নীলপুর একালায় মিথ্যে অভিযোগ তুলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রবিবার রাতে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সোমবার সকালে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময়ও আমার ওপর হামলা চালানো হয়। মারধর করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তাঁরা”।