মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাটমানি’ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ ঘিরে যখন বিজেপি তাঁর নিন্দে-মন্দ করতে শুরু করেছে,ঠিক তখনই বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই উঠলো টাকা তছরুপ ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ। যার ফলে উত্তাল হয়ে উঠল মালদহের মুচিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা। এদিন প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে পঞ্চায়েত প্রধান শুভলক্ষী গাইনকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চায়েতের সদস্যদের তিনি ১০০ দিনের কাজের বিষয়ে কোন তথ্যই দিচ্ছেন না। এছাড়াও জনপরিষেবা সংক্রান্ত সবকিছুই তিনি নিজে তদারকি করছেন। পঞ্চায়েতের বাকি সদস্যদের সহযোগিতাও চাইছেন না। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বিগত বোর্ডের অনেক কাজই বাকি আছে। মূলত সেই কাজই এখন চলছে। নতুন কোন কাজ বা কাজের পরিকল্পনা এখনও গৃহীত হয়নি। ফলে যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, গত মুচিয়া গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১০, তৃণমূল ৫ ও কংগ্রেস ১টি আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। আর তারপর থেকেই সেখানে গোষ্ঠীকোন্দলে ভুগছে পদ্মশিবির। আর এবার সরাসরি অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলা হলো গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই।