কাউন্সিলরদের নিয়ে করা বৈঠকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় কাটমানি নেওয়ার ফলেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, দলের নাম খারাপ হচ্ছে। তাই যাঁরা যা কাটমানি নিয়েছেন তা অবিলম্বে ফেরৎ দিতে হবে। কিন্তু এর পরেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়ে যায় নানা বিতর্ক। তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করতে শুরু করে দেয় গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে কাটমানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য হিসেবে কিছু সংবাদমাধ্যম যা বলছে, তা সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করল তৃণমূল। রবিবার সন্ধ্যায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেস বিবৃতি জারি করে বলেন, দলনেত্রী মনে করেন, তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ পদাধিকারী ও জনপ্রতিনিধি সৎ ও পরিশ্রমী। মানুষের স্বার্থে তাঁরা কাজ করেন।
পার্থর দাবি, অন্য রাজনৈতিক দল থেকে আসা কিছু লোক দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে যুক্ত হয়ে তৃণমূলের বদনাম করেছে। কিছু পঞ্চায়েত ও পুরসভার সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে। তাঁরা ভাবছেন, এতে তাঁদের অপরাধ ঢাকা পড়ে যাবে। কিন্তু তাঁরা ভুল ভাবছেন। পিছনে বিজেপির মদত থাকলেও তাঁরা তাঁদের কৃতকর্মের ফল পাবেনই। অর্থাৎ হাবে ভাবে পার্থ বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাটমানি খাওয়ায় জড়িতরাই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে নিজেদের বাঁচাতে। তৃণমূলের সিংহভাগই সৎ। এই বিবৃতিতে সরাসরি কাটমানির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে কাউন্সিলারদের সভায় ভাষণ দেওয়ার পর আর্থিক অনিয়মের প্রসঙ্গ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই যে এই বিবৃতি, সেটা পরিষ্কার।