ভোটের পর থেকেই কার্যত দিশেহারা কংগ্রেস। ভোটে খারাপ ফলের দায় নিয়ে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই পরিস্থিতিতে এ বার সব রাজ্য কমিটি ভেঙে দিল কংগ্রেস। অর্থাৎ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলির আর কোনও সাংগঠনিক কাঠামো থাকল না। আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি)। ওই বৈঠকেই সভাপতি নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে।
দলের বিপর্যয়ের দায় নিয়ে ইস্তফা পত্র পেশ করেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু দলের নীতি নির্ধারণ কমিটি সর্বসম্মত ভাবে সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করে রাহুলকেই সভাপতি পদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানায়। কিন্তু রাহুল তাতে রাজি হননি। তার পরও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই বহু ভাবে তাঁকে পদে থাকার অনুরোধ-উপরোধ করেছেন। কিন্তু রাহুল গোঁ ধরে রয়েছেন। তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অবিচল। কোনও ভাবেই কংগ্রেস সভাপতির পদে আর ফিরবেন না। এই পরিস্থিতিতে দলও এবার নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। সভাপতির বদলে কাউকে কার্যকরী সভাপতি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশলের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সমস্ত রাজ্য কমিটি সোমবার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকম্যান্ড। সভাপতি নির্বাচন ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেও ফের এক বার রাহুল গাঁধীকে সভাপতি পদে থাকার জন্য অনুরোধ জানাবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে একটি সূত্রে এও বলা হচ্ছে, এটাই হবে শেষ অনুরোধ। এ বারও রাহুল রাজি না হলে নতুন সভাপতি বা কার্যকরী সভাপতি খোঁজার কাজ শুরু করে দেবেন দলের নেতারা।