বিশ্বকাপের সবচেয়ে দুর্বল দল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ২২৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ভারত। যদিও শেষ পর্যন্ত ১১ রানে জিতলেও সমালোচিত হয়েছে ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মন্থর ব্যাটিং। এই নিয়ে নানা বক্তব্য করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এই প্রসঙ্গে কেদার যাদব জানিয়েছেন, উইকেট মন্থর হওয়ার কারণেই চালিয়ে খেলতে গিয়ে মুশকিলে পড়তে হয়েছে তাঁদের। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ম্যাচ শেষে কেদার বলেন, “ব্যাটিং করতে নেমেই বুঝে গিয়েছিলাম এখানে স্ট্রোক প্লে সহজ হবে না। বল ভীষণই ধীর গতিতে ব্যাটে আসছিল। পিচ মন্থর হওয়ার কারণে কিছুতেই বিগ হিট নেওয়া যাচ্ছিল না। এ ধরনের পিচে সময় নিয়ে শট খেলতে হত। আমরা সেটা করার চেষ্টা করেছি”।
ভারতের দুই পেসার যশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ শামি স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও দলকে জয় এনে দিয়েছেন। যার মধ্যে শামি আবার দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে গড়েছেন হ্যাটট্রিকের নজির। তাঁকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে কেদার বলেন, “হাতে খুব বেশি রান না থাকলেও দলের বোলারদের উপর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস ছিল। আমরা জানতাম, পেসাররা শেষ কয়েক ওভারে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। সেটাই হয়েছে। বুমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক-থ্রু এনে দেওয়ার পর শেষ কাজটা দারুণ ভাবে সেরেছে শামি। নিশ্চিত করেছে হ্যাটট্রিক। শামি সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই এমন বোলিং সহজ কথা নয়”।
প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা ফিরে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেট ধোনি ও যাদব মিলে ৫৭ রান যোগ করেন। একই সঙ্গে কেদার পূর্ণ করেন হাফ-সেঞ্চুরিও। নিজের ব্যাটিং সম্পর্কে তিনি বলেন, “এমন কঠিন উইকেটে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি, পরের ম্যাচগুলিতেও পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করব”।