গ্রামবাংলায় গরিব মানুষের জন্য ৮ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে প্রকল্পে এই সংখ্যক বাড়ি তৈরি হবে আর্থিক বছরে।
গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে। সেই হিসাবে চলতি আর্থিক বছরে সংখ্যাটা বাড়ছে প্রায় আড়াই লক্ষ। এই বাড়িগুলি তৈরি করবে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। নিয়ম অনুযায়ী, বাড়িগুলি ২৫ বর্গমিটার এললাকাজুড়ে হতে হবে। তাতে একটি ঘর, রান্নাঘর, বারান্দা ও শৌচাগার থাকবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে এক-একজন এই প্রকল্পে পাবেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। অন্য জেলায় গরিব মানুষেরা পাবেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর রাজ্য সরকার দেবে ৪০ শতাংশ।
জেলাশাসকদের অবিলম্বে সুবিধাপ্রাপকদের জেলাওয়াড়ি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জুড়ে প্রকল্পের কাজ চললেও ৮ টি জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জেলাগুলি হল, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমান। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে রাজ্যের কাজে খুশি হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সুবিধাপ্রাপকদের সংখ্যাও প্রায় আড়াই লক্ষ বেড়েছে। সম্প্রতি নবান্নর তরফে জেলাশাসকদের যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা ব্লা হয়েছে।
গ্রামবাংলার গরিব মানুষের জন্য যেমন ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প, তেমনই রাজ্যের ১২৫ টি পুরসভাতেও এই ধরণের বাড়ি বানানোর প্রকল্প চলছে। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে নজরুল মঞ্চে দলীয় কাউন্সিলারদের বৈঠকে জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলেও প্রায় ৮ লক্ষ মানুষকে এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। শহরাঞ্চলে এক-একটি বাড়ি বাবদ ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে।