কাঁকিনাড়া-জগদ্দলে অশান্তির পরিবেশ এখনো অব্যাহত। পরিস্থিতিটা যে এখনও স্বাভাবিক হয়নি, কাঁকিনাড়ার কাছারি রোডে গেলেই আন্দাজ করা যায়। এলাকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, গোটা এলাকা যেন বন্ধের চেহারা নিয়েছে! দু’একটা দোকানপাট খুলেছে। গুটিকয়েক লোকও রাস্তায় বেরিয়েছেন। চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, দেখে মনে হচ্ছে পরিবেশ শান্ত, কিন্তু পরমুহূর্তে কী হবে কেউ জানে না।
আজ সকাল থেকে অবশ্য নতুন করে কোনও অশান্তি ছড়ায়নি কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়া এলাকায়। তবে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। শুক্রবারেই এখানে শোক মিছিলকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নতুন দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার রাতেই ভাটপাড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যান মনোজ বর্মা। গভীর রাত পর্যন্ত ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ার বিভিন্ন এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখেন। এর পরই রাতে তিনি অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার এবং ভাটপাড়ার ওসি-র সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, গণ্ডগোলের পিছনে থাকা সেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য ভটাপাড়া-সহ পার্শ্ববর্তী থানার আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বহিরাগতদেরও চিহ্নিত করার কথা বলেন কমিশনার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই সব এলাকার আধিকারিকরা অপরাধীদের একটি তালিকা কমিশনারের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাদের কয়েক জন সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়া এলাকায় ঢুকেছে। সূত্রের খবর, নতুন কমিশনার নাকা এলাকা তল্লাশির পাশাপাশি নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অভিযানের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।