ফের যোগীর রাজ্যে ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের সাফিপুরে।
দুসপ্তাহ আগে ১২ বছরের দলিত একটি মেয়ে এই পৈশাচিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধর্ষণের ঘটল যোগীর রাজ্যে।
জানা গেছে, মেয়েটির বাবা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে মেয়েকে পাশে না দেখতে পেয়ে প্রথমে ভাবেন হয় তো সে মাঠে গেছে শৌচকাজ করতে। বেশ অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেলেও মেয়ে ফিরে না আসায়, বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীদের নিয়ে বাবা মেয়েকে খুঁজতে বের হন। কাছেই একটি মাঠে মেয়ের দেহ উদ্ধার করেন তিনি। তার মাথা খেঁতলানো ছিল। ঘাড়ে এবং যৌনাঙ্গে প্রচুর আঘাতের চিহ্নও পেয়েছে পুলিশ। উন্নাওয়ের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এম পি বর্মা বলছেন, পকসো আইনে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এই নিয়ে ৭ থেকে ১০ই জুনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ মিলিয়ে মোট ৫ জন নাবালিকা অত্যাচারিতা হয়েছে। আলিগড়ে এক আড়াই বছরের শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর দুদিন পর থেকেই এই খবরগুলো সামনে আসতে থাকে। আলিগড়ের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তার পরেই এই কুশিনগরের ঘটনা সামনে এসেছিল।
উত্তরপ্রদেশের একের পর এক এই ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির সভাপতি আখিলেশ যাদব ও বহুজন সমাজ পার্টির সভাপতি মায়াবতী রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন। অখিলেশ বলেন, “উত্তর প্রদেশ অপরাধের একটি আঁতুর ঘরে পরিণত হয়েছে। ” মায়াবতী বলেন, ঘটনাগুলো সম্পর্কে মানুষ ‘ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত’। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সমাজ ও সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
এত কিছুর পরেও গোবলয়ে আতঙ্ক কাটেনি। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও থেকেই যাচ্ছে। আর একের পর এক ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠছে গোটা দেশ।