প্রতিটাদিন রাস্তাঘাটে, ট্রেনে নানাভাবে মহিলাদের হেনস্থার কথা শোনা যায়। এবার ফের সামনে এল দূরপাল্লার ট্রেনে এক মহিলার শ্লীলতাহানির খবর। গৌড় এক্সপ্রেসে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। মালদহে পৌঁছে জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। যাত্রীদের তৎপরতায় একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে৷ এই ঘটনা আবার সামনে আনল ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার কথা।
মালদহের পাকুয়াহাটে বাড়ি ওই তরুণীর। তিনি কলেজে পড়েন। কলকাতা থেকে মায়ের সঙ্গে মালদহে ফিরছিলেন। শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ থেকে গৌড় এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন মা ও মেয়ে। ওই তরুণীর অভিযোগ, ট্রেন ছাড়ার পর ফোন নম্বর চেয়ে তাঁকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিল কয়েকজন যুবক। অভিযুক্তরা সকলেই মদ্যপ ছিল। শেষপর্যন্ত ট্রেন যখন বর্ধমান স্টেশনের কাছে পৌঁছয়, তখন মদ্যপ যুবকেরা ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার দাবি, ঘটনার পর বাকিরা বর্ধমান স্টেশনে নেমে গেলেও, একজনকে ধরে ফেলেন অন্যান্য যাত্রীরা। খবর দেওয়া হয় গৌড় এক্সপ্রেসে কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষককেও। শনিবার সকালে মালদহে পৌঁছায় গৌড় এক্সপ্রেস। ধৃত যুবককে মালদহ টাউন স্টেশনের জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনা জানিয়েছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন নির্যাতিতা তরুণী। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম চিরঞ্জিৎ দাস। তার বাড়ি বসিরহাটে।
কিছুদিন আগেও ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার লক্ষ্মীপুর স্টেশনের কাছে রেল লাইন থেকে এক তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জানা ওই তরুণীর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। তাঁর স্বামী কেরলে কাজ করেন। সেখান থেকে ফেরার পর হাওড়া স্টেশনে ওই তরুণীর সঙ্গে ভাব জমায় কয়েকজন যুবক। এরপর সোনারপুর যাওয়ার ট্রেনের তুল দেওয়ার নাম করে ওই যুবকেরা তাঁকে কাটোয়াগামী লোকাল ট্রেনে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, রাতের ফাঁকা ট্রেনে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুবকেরা। নিজের সম্মান বাঁচাতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন তিনি।
যেভাবে বারেবারে ট্রেনে মহিলারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তাতে করে প্রশ্নের মুখে রেল। অথচ যাত্রী সুরক্ষা কি করে নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়ে কোনও যথাযথ পদক্ষেপের কথা এখনও কিছুই জানানো হয়নি রেল কর্তৃপক্ষের তরফে।