বিশ্বকাপ দশ দেশের দশ ফলের খেলা। তবে চলতি বিশ্বকাপে সব চেয়ে দাপুটে দল দেখাচ্ছে ভারতকে। ভারতই এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে প্রথম চয়েস। এ জন্য বিরাট কোহালির দুরন্ত অধিনায়কত্বকে কুর্নিশ জানাতে হয়। দলকে ঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যোগ্য অধিনায়কের দায়িত্ব। প্রতিযোগিতার মাঝামাঝি পর্যায়ে তাই বলাই যায়, সব দলের মধ্যে ভারতকেই মাঠে সবথেকে বেশি শাসন করতে দেখা যাচ্ছে।
কোহালির ইতিবাচক অধিনায়কত্বে দলের মানসিকতাতেও বদল এসেছে। ভারতীয় খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা দেখলেই এখন সেটা বোঝা যায়। প্রতিটা ম্যাচেই ভারত এখন ফেভারিট হিসেবে নামছে, তবু দলের উপর কোনও চাপ আছে বলে মনে হচ্ছে না, সবাই নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলছে। অন্যদিকে, ভারতের অন্যতম শক্তি রিজার্ভ বেঞ্চও। ধওয়ানের ছিটকে যাওয়া নিঃসন্দেহে ধাক্কা। কিন্তু কে এল রাহুল রোহিত শর্মার যোগ্য সঙ্গী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছে। বিপক্ষ এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ঋষভ পন্থ, দীনেশ কার্তিক বা বিজয় শঙ্কর ব্যাটিংয়ে চার নম্বর জায়গাটা নিতে পারে।
কোহালির অধিনায়কত্বে আরও একটা দিক আমার দারুণ লেগেছে। সেটা হল, ক্রমশ পরিণত হয়ে ওঠা। কোহালি জানে মাঠে ধৈর্য রাখার একটা সুফল রয়েছে। তাই প্রয়োজনে সময় দিতে ও রাজি। পাকিস্তান ম্যাচে ওদের দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপ চলার সময় যে ভাবে কোহালি বোলারদের বদলে বদলে ব্যবহার করেছে, তাতেই এটা বোঝা যায়।
কয়েকটা হাই ভোল্টেজ লড়াইয়ের পরে এ বার ভারতের সামনে কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। তবে ভারতীয় দলকে দেখে মনে হয় না প্রতিপক্ষকে হাল্কা ভাবে নেবে ওরা। প্যাডেল থেকে পা সরালে চলবে না। বরং কয়ের জন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান যাতে আরও কিছুটা সময় মাঠে পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করা যেতে পারে। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম তিন জন সেরা ফর্মে আছে। সঙ্গে কুলদীপ যাদবও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছন্দে ফেরায় দুই বিভাগেই ভারতীয় দলকে অপ্রতিরোধ্য লাগছে।