কালকের বিশ্বকাপ ম্যাচের স্কোরবোর্ডে নজর রাখলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৮ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৮২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন যে লড়াইটা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা দেখিয়েছেন, তা মন জয় করে নিতে বাধ্য ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ৷ কিন্তু সাকিব যে ফর্মে রয়েছেন, তাতে বাংলাদেশি সমর্থকরা এদিনও তাঁর কাছ থেকে একটা বড় রানের ইনিংসই আশা করছিলেন। ব্যাট হাতে ছন্দ পেয়েও গিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু স্টয়নিসের বল ঠিকমতো বুঝতে না পেরে মিড অফে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। যদিও বাংলাদেশের লড়াই এখানেই শেষ হয়নি। বরং বলা যেতে পারে লড়াইয়ের শুরু এখান থেকেই৷ প্রথমে ওপেনার তামিম ইকবাল (৬২), পরে মুশফিকুর-মাহমুদুল্লাহের ষষ্ঠ উইকেটে দুরন্ত জুটিই বাংলাদেশকে জয়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল৷ ৫০ বলে ৬৯ রান করে মাহমুদুল্লাহ আউট হলেও এদিন নিজের সপ্তম ওয়ান ডে সেঞ্চুরিটা করে ফেলেন মুশফিকুর রহিম৷ তাঁর ইনিংসটি সাজানো ৯টি চার এবং ১টি ছক্কায়৷
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও ২ বার সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। এর আগে ২০০৫ এ কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েছিলেন বাংলাদেশের হাবুল বাশার ও মহঃ আশরাফুল। এরপর ২০১১ তে কায়েস ও নাফিসের নেতৃত্বে ফের সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশ টিম। আর এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয়বার সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়লেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ।