এবার তথাগত রায়কে ‘জয় বাংলা’র কটাক্ষ করা নিয়ে পাল্টা দিলেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার তাঁর উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতারা বললেন, “পাঞ্জাব পাকিস্তানে আছে, আবার ভারতেও আছে। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে কি ‘জয় পাঞ্জাব’ও বলা যাবে না? মহারাষ্ট্রের মানুষরা ‘জয় মহারাষ্ট্র’ বলেন। এখন থেকে কি দেশের মানুষ সেটাও বলতে পারবেন না?”
এই বিতর্ক সৃষ্টির মূল কেন্দ্র তৃণমূলের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ এবং সৌজন্যে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়৷ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে তৃণমূলকে ফেসবুকে কটাক্ষ করেছেন তথাগত রায়৷ ‘জয় বাংলা’ নিয়ে ফেসবুকে দুটি পোস্ট করেন তথাগতবাবু৷ একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাদেশিকতাকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। সাবধান থাকুন।
স্লোগান উত্তাপের রেশ গড়িয়েছে সংসদের অন্দরেও৷ লোকসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও শোনা গিয়েছে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি৷ বাদানুবাদও জড়িয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন বাংলার সাংসদ৷ যা নিয়ে তরজা তুঙ্গে৷ এই প্রসঙ্গ টেনে ফেসবুকে মেঘালয়ের রাজ্যপাল এমন মন্তব্য করেন। এরপরই পালটা সরব হয় রাজ্যের শাসক দল৷ তাদের মতে, তথাগত রায় মোটেই নিজের রাজ্য নিয়ে গর্ববোধ করেন না। পাঞ্জাব পাকিস্তানে আছে, আবার ভারতেও আছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, তাহলে কি ‘জয় পাঞ্জাব’ও বলা যাবে না?
এই প্রথম নয়৷ এর আগে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলার সময়ও বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজ্যপাল তথাগত রায়৷ তাঁর বক্তব্য ছিল, “বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ কিংবা নেতাজির সঙ্গে হিন্দি শেখার কোনও বিরোধ নেই। বাঙালি ছেলেরা হরিয়ানা থেকে কেরল-সর্বত্র ঘর ঝাঁট দেয়। বাঙালি মেয়েরা মুম্বইতে বার ডান্স করে, যা আগে অকল্পনীয় ছিল।” অর্থাৎ মেঘালয়ের রাজ্যপালের যুক্তি ছিল, বাঙালি মেয়েরা মুম্বইতে বারে নাচ করতে পারলে, হিন্দি শিখতে আপত্তি কেন? পরে অবশ্য তিনি দাবি করেন তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে হয়েছে৷ সেইসময় তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য।