একটানা ২৮ বছর সাংসদ থাকার পর রাজ্যসভা থেকে একপ্রকার বিদায় ঘটেছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর৷ আসাম থেকে পাঁচ বারের এই সাংসদের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। কারণ রাজ্যের বিধানসভায় যথেষ্ট বিধায়ক নেই কংগ্রেসের। ফলে এই মুহূর্তে সংসদ মনমোহনহীন! তবে কংগ্রেস চায় দশ বছর ধরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এই স্বল্পভাষী-প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ রাজ্যসভায় থাকুন। তাই মনমোহনকে জেতানোর জন্য তামিলনাড়ুর জোটসঙ্গী ডিএমকের সঙ্গে কথা বলছেন কংগ্রেস নেতারা।
প্রসঙ্গত, তাঁর বিনম্র স্বভাবের জন্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে আজও মনমোহন সিং শ্রদ্ধার পাত্র৷ দেশের অর্থনীতির খুঁটিনাটি যাবতীয় পরিসংখ্যান এখনও তাঁর নখের ডগায়। ১৯৯১ থেকে রাজ্যসভার সদস্য তিনি। এক সময় সামলেছেন দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও। এখন তাঁর সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মনমোহনকে ছাড়াই আগামী কয়েক মাস সংসদের উচ্চকক্ষে অংশ নিতে হবে কংগ্রেসকে। কেন না, দল চাইলেও এখনই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যসভায় আনতে পারবে না তারা। এই মুহূর্তে তাদের আশার আলো বলতে একমাত্র তামিলনাড়ু। লোকসভায় সে রাজ্যে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট বিপুল সাফল্য পেয়েছে।
চলতি বছরে জুলাইয়ের শেষে রাজ্যসভার ৬ আসন খালি হবে দক্ষিণের ওই রাজ্যে। তার মধ্যে তিনটে আসন পাবে ডিএমকে জোট। সূত্রের খবর, মনমোহনকে রাজ্যসভায় আনার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্ব তাই কথা শুরু করেছে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের সঙ্গে। নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে এমডিএমকে প্রধান ভাইকোকে একটি আসন ছাড়তে হবে স্ট্যালিনকে। এর পাশাপাশি মনমোহন সিংয়ের জন্যও একটি আসন ছাড়লে মাত্র একটিই আসন পরে থাকবে তাঁর দলের হাতে। তাই স্ট্যালিন এখন কী করেন, সেটাই দেখার।