২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর পর্যালোচনা বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখন থেকে দল এবং সংগঠনের কাজে আরও বেশি মন দেবেন তিনি। এবার তাঁর নির্দেশেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া দলের সংখ্যালঘুদের একাংশকে কাজে ফেরাতে তৎপর হল তৃণমূল। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার দলের সংখ্যালঘু সেলের বৈঠকে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে জনমানসে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তার মোকাবিলা করার পক্ষে বৈঠকে সহমত হন নেতারা।
রাজ্যের প্রায় ৬৫টি বিধানসভা আসনে চল্লিশ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। ফলে, এইসব কেন্দ্রে সংখ্যালঘুরাই নির্বাচনী ফলাফলের নিয়ন্ত্রক। রাজ্যের ২৭ শতাংশের বেশি এই সংখ্যালঘু ভোঠের সিংহভাগই তৃণমূলের হাতে। সদ্য হওয়া সপ্তদশ লোকসভা ভোটে গতবারের চাইতে ১২ আসন কমে গেলেও সংখ্যালঘু ভোটে একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম রেখেছে তৃণমূল। স্বয়ং দলনেত্রী মমতাও বলেছেন, সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছে। তবে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি এই আস্থা দেখালেও তৃণমূলের পর্যবেক্ষণ, সংখ্যালঘুদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা বেড়েছে।
সম্প্রতি দলের ফলাফল পর্যলোচনা করে তৃণমূল নেত্রী সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। গতকালই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম সেলের বৈঠক করলেন তিনি। সভা শেষে তিনি জানান যে, সংখ্যালঘু দলীয় কর্মীদের মধ্যে যাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন, আগামী ২১ জুলাই দলের শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে তাঁদের কাজে ফেরাতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবং ধর্মতলার ওই সমাবেশে পঞ্চাশ হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু সেলকে। তিনি এ-ও জানান যে, এই সেলকে আরও কার্যকর করে তুলতে প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে বসবেন সংখ্যালঘু নেতারা।