ভোটের আগে ও পরে গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডবে একাধিক বার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার ভাটপাড়া। আজ ভাটপাড়া ফাঁড়ি থানায় উন্নীত হওয়ার কথা। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা পুলিশ কর্তাদের অনেকের। কিন্তু তার আগেই ফের একবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ভাটপাড়া। চলল ব্যাপক বোমাবাজি আর গুলি। যাতে মৃত্যু হল দুজনের। এবং ঘায়েল হয়েছেন চারজন। পুলিশ জানিয়েছে নিহতদের নাম রামবাবু সাউ ও সন্তোষ সাউ। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া বিধানসভার উপ নির্বাচন ঘিরে গত ১৯ মে থেকে তেতে ওঠে ভাটপাড়া। শুরু হয় বিজেপির গুণ্ডাবাহিনীর ব্যাপক তাণ্ডব। তাদের ভাঙচুর, বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা অঞ্চল। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা বারবার পরিস্থিতি সামাল দিলেও গত এক মাস ধরেই জারি রয়েছে অশান্তি। যখন তখন বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি দস্তুর হয়ে পড়েছে কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
আজও সকাল ন’টা নাগাদ গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, রিলায়েন্স জুটমিলের সামনে অশান্তি শুরু করে একদল বহিরাগত। তাদের মুখে ছিল ফেট্টি বাঁধা। তারপরেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে এলাকায়। গুলির লড়াইও চলে বলে দাবি পুলিশের। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। রিলায়েন্স জুটমিলের গেট থেকে ভাটপাড়া ফাঁড়ির দূরত্ব আনুমানিক ৩০০ মিটার। আজই ভাটপাড়া ফাঁড়ির থানায় রূপান্তর হওয়ার অনুষ্ঠান ছিল সেখানে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।
প্রসঙ্গত, বুধবার সাত সকালেও ভাটপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছে গুলিবিদ্ধ হন আরবিসি কলেজের ছাত্র সুরজ মণ্ডল (২২)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাটপাড়া পুরসভার উল্টোদিকে পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই গলিতে বাড়ি সুরজের। সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুরজ। সেই সময় বাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে তাঁকে। সুরজের পিঠ ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। গতকালের ওই ঘটনাতেও বিজেপির দিকেই আঙুল উঠেছিল।