স্পিকার প্রার্থী কে? এ বিষয়ে প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ আঁধারে রাখা হয়েছিল তৃণমূলকে। যা নিয়ে এবার ক্ষোভ উগড়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একইসঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে যে বার বার অ্যাডভাইসরি পাঠানো হচ্ছে, তা মোটেই মেনে নেওয়া হবে না বলেও গতকাল লোকসভায় জানিয়ে দেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ৩৪ থেকে কমে ২২ হয়ে গেলেও আগামীদিনেও যে মোদী সরকারের সমালোচনায় তৃণমূল সরব হবে, তা স্পিকার নির্বাচন পর্বেও বুঝিয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা হোটেল অশোকা’র নৈশভোজেও তৃণমূলের কোনও সাংসদ যাবেন না বলেই জানান হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং এনআরএস কাণ্ড, দুটি ইস্যুতে রাজ্যকে স্রেফ অ্যাডভাইসারিই পাঠায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তলব করা হয়েছে রিপোর্ট। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। এরই মধ্যে লোকসভার স্পিকার নির্বাচন পর্বে দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সপ্তদশ লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে ওম বিড়লার স্পিকার পদে আসীন হওয়াকে সমর্থন করলেও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মিডিয়ার কাছ থেকেই স্পিকার কে হচ্ছেন তা জানতে পেরেছি। সরকার আমাদের সেটুকু জানানোর সৌজন্যও দেখায়নি। এটি সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো ইঙ্গিত নয়।
সভার মধ্যে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করে সুদীপ বলেন, বাংলাকে যেভাবে বার বার অ্যাডভাইসারি পাঠানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রে যেমন নির্বাচিতরাই সরকার চালায়, একইভাবে রাজ্যেও তাই। কিন্তু কখনও কখনও কেন্দ্রীয় সরকার এমন আচরণ করে যাতে মনে হয়, তারা রাজ্যটাকেই চালাতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এটি কাম্য নয়।