বিভিন্ন রাজ্যে শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুলে গ্রেফতার হচ্ছেন একের পর এক সাংবাদিক। তবে এবার সত্যকে সামনে আনার চেষ্টায় চরম খেসারত দিতে হল এক সাংবাদিককে। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার শাহগড় শহরে বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি দফতরের এক অফিসার আমান চৌধুরীর বাড়ির বাইরে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় সাংবাদিক চক্রেশ জৈনের।
সরকারি অফিসারের বেআইনি কীর্তিকলাপ ফাঁস হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কাতেই কি পুড়িয়ে মারা হলো সাংবাদিককে? এই প্রশ্নই এখন ধন্দে ফেলে দিয়েছে পুলিশ কর্তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি দফতরের এক অফিসার আমান চৌধুরীর বাড়ির বাইরে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় সাংবাদিক চক্রেশ জৈনের। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক অমিত সাঙ্ঘি জানিয়েছেন, সাংবাদিকের পরিবার আমান চৌধুরী ও আর একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুড়িয়েই মারা হয়েছে সাংবাদিক চক্রেশ জৈনকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চক্রেশ জৈন একটি হিন্দি দৈনিকের সিনিয়র জার্নালিস্ট। সরকারি দফতরেরই একটি মামলার ব্যাপারে অফিসার আমান চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বছর দুয়েক আগে। সাংবাদিকের পরিবার জানিয়েছে, সেই আইনি ঝামেলায় আমান জড়িত ছিলেন। সেই নিয়েই প্রতিবেদন লিখছিলেন সাংবাদিক। মামলার শুনানি ছিল আর ক’দিন পরেই। সেই নিয়ে আলোচনা করতেই বুধবার সকালে অফিসারের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরই ওই অফিসারের বাড়ির বাইরে থেকে জৈনের আধপোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়। সাংবাদিকের ভাই রাজকুমার জৈনের কথায়, ‘দাদা আমান চৌধুরীর বাড়িতে যাচ্ছেন আমরা জানতাম। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। ওই অফিসারই আমার দাদাকে পুড়িয়ে মেরেছেন যাতে সত্যিটা সামনে না আসে।’
