চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফল প্রকাশ হল আজ। পরীক্ষার ২৪ দিনের মাথায় আজ ফল প্রকাশিত হল। আর এই ফলাফল প্রকাশে চমক দিল দুর্গাপুর। কারণ প্রথম দশের মেধাতালিকায় তিন পড়ুয়া শিল্পনগরী দুর্গাপুরের। প্রথম হয়েছেন সোহম মিস্ত্রি। সোহম দুর্গাপুরের হেমশিলা মডেল স্কুলে পড়তেন। দ্বিতীয় স্থানে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র তমোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় স্থানে আছেন দুর্গাপুর হেমশিলা মডেল স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ সেন। একই স্কুলের ছাত্র শুভজ্যোতি ঘোষ আছেন মেধাতালিকার দশ নম্বরে। এছাড়াও কলকাতার পাঁচ পড়ুয়া মেধাতালিকায় আছেন। তবে এবারের মেধা তালিকায় কোনও ছাত্রীর নাম নেই।
এ বছর পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৯১২। পরীক্ষা হয়েছিল ২৬ মে। ৮০ হাজার ৯৭৯ জন পরীক্ষায় বসেন। ৮০ হাজার ৫৮০ জনের ঘোষণা করা হয়েছে। ৯৯.৫ শতাংশ পরীক্ষার্থীকে সফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। এদিন বেলা ১টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ফলপ্রকাশ করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। দুপুর ২টো থেকে ওয়েবসাইটে ফলাফল জানতে পারছেন পরীক্ষার্থীরা। www.wbjeeb.nic.in/ www.wbjeeb.in ওয়েবসাইটে জয়েন্টের ফল জানানো হচ্ছে।
২০২০ সালের জয়েন্ট হবে ১৯ এপ্রিল। কাউন্সেলিং ২৪ জুন থেকে শুরু হয়ে ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফল ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি টুইট বার্তায় লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আমার অনেক অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবকদেরও শুভেচ্ছা জানাই। তোমাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হোক”।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য এবারের পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল। ফল প্রকাশের পরেই সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি, ফার্মাসি ও আর্কিটেকচার নিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা। তিন দফায় হবে কাউন্সেলিং। যাদবপুরে ৯০ শতাংশ ডোমিসাইল কার্যকর হবে। অর্থাৎ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য ৯০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা জানিয়েছেন, শূন্যর বেশি পেলেই প্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে। ৩০২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল আসাম এবং ত্রিপুরাতে।