চোট যেন ভারতের পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই৷ বুড়ো আঙুলে ফ্র্যাকচার হয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন শিখর ধওয়ান৷ শিখরের ছিটকে যাওয়ার দিনেই ফের চোট ভারতীয় দলে৷ এবার আঘাত লাগল বিজয় শঙ্করের৷
বুধবার অনুশীলন চলাকালীন দুম করে লাগল অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করের। নেটে ব্যাট করার সময় যশপ্রীত বুমরার ইয়র্কার এসে আছড়ে পড়ল তাঁর বাঁ-পায়ের পাতায়। ব্যাট ফেলে দিয়ে নেটের মধ্যে বসে পড়েন তিনি। বিজয়ের বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লেগেছে। শিখরের ছিল বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুল। শঙ্করের লাগল বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলে। আর ও দিকে তখন শিখরকে নিয়ে দুঃসংবাদ ঘোষণা করার তোড়জোড় চলছে।
শঙ্করকে কাতরাতে দেখে অন্যেরা দ্রুত ছুটে এলেন। শুশ্রূষা পেয়ে দাঁড়ালেও যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডার। ও-দিকে বলটা যাঁর হাত থেকে বেরিয়েছে, সেই বুমরা তখন অপরাধী-অপরাধী মুখ করে দাঁড়িয়ে। বাকি অনেক ক্রিকেটার তত ক্ষণে ব্যাটিং-বোলিং করে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন। কোহলি, রোহিত শর্মারা নেই। কিন্তু কোচেরা সকলে আছেন। হেড কোচ রবি শাস্ত্রী থেকে শুরু করে বোলিং কোচ বি অরুণ, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার সকলের নজর তখন শঙ্করের দিকে। কারও চোখের পলক পড়ছে না। একটা ধাক্কা সামলে উঠতে না-উঠতেই আবার কেউ চোটের বলি হতে যাচ্ছে নাকি?
বাঁ-পায়ের পাতায় এমন আঘাত পাওয়া মোটেও হাল্কা ভাবে নেওয়ার মতো ব্যাপার নয়। প্রাথমিক শুশ্রূষার পরে শঙ্করের মুখ থেকে যন্ত্রণার ছায়া অনেকটা সরল। কিন্তু আঘাতের গুরুত্ব কতটা, তা বোঝার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। প্র্যাক্টিস শেষ হওয়ার অনেক পরে, লাঞ্চ সেরে যখন ভারতীয় দল বাসে উঠছে হোটেলে ফিরে যাওয়ার জন্য, তখন শঙ্করকে দেখা গেল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। পাশে এক সতীর্থ। মাঝেমধ্যে তাঁর কাঁধে হাত রেখে সাহায্যও নিতে হচ্ছে। জুতো পরতে পারেননি।
অন্যদিকে ভুবনেশ্বর কুমার চোট পেয়ে বাইরে রয়েছেন। তাঁর পরিস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। দারুণ কিছু উন্নতি হয়েছে বলে মেডিক্যাল বুলেটিন নেই। যদিও দল সূত্রের খবর, ভুবিকে দু’টো ম্যাচে বাইরে বসতে হতে পারে। শিখরের মতো পুরোপুরি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়নি তাঁর৷