জমে উঠেছে বিশ্বকাপের লড়াই৷ আজ অষ্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ৷ তবে খাতায়-কলমে অস্ট্রেলিয়াই ফেভারিট বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জে। এখনও পর্যন্ত অ্যারন ফিঞ্চরা দাপটে না হোক, মসৃণ গতিতে এগিয়েছেন তাদের কাপ অভিযানে। পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের পরেই আছে এখন অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট আট। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকছেন ফিঞ্চরা। কারণ একটাই। বাংলাদেশের তারকা শাকিব আল হাসানের দুরন্ত ফর্ম৷
অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার বলছেন, ‘‘শাকিব সম্ভবত এখন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার ও বাঁ-হাতি স্পিনার।’’ তাই শাকিব-কাঁটা কিছুটা হলেও চিন্তায় রেখেছে স্টার্কসদের৷
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সুখবর হল, চোট সারিয়ে উঠেছেন মার্কাস স্টোয়নিস। গত দু’টি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। তবে স্টোয়নিস সম্ভবত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে থাকবেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী। দারুণ ছন্দে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিনচও রান পেয়েছেন। উসমান খাওয়াজা, স্টিভ স্মিথরা বাংলাদেশের বোলারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলবেন।
ট্রেন্ট ব্রিজের পিচ শুকনো। ফলে স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারেন। তাই কোচ ল্যাঙ্গার ইঙ্গিত দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলাতে পারে। প্রথম তিনটি ম্যাচে লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাকে খেলিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দু’টি ম্যাচে প্রথম একাদশে কোনও স্পিনারই রাখেনি তারা। তবে জাম্পা না নাথান লিয়ঁ, তা এখনও ঠিক হয়নি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বড় দলকে হারানোর পরিকল্পনা নিয়ে নামার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানের আগে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ২১ রানে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল তাদের প্রথম ম্যাচে। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশও কিন্তু সেমিফাইনালের দৌড়ে অন্যতম দাবিদার। শাকিব আবার বলে দিয়েছেন, ‘‘গত চার ম্যাচে আমরা বিশ্বের কয়েক জন সেরা ফাস্ট বোলারের মুখোমুখি হয়েছি। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা ভালই সামলেছি। তাই পেস সামলানো নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছি। দুটো দলেই ঘণ্টায় ১৪০, ১৫০ কিমিরও বেশি গতিতে বল করার মতো বোলার রয়েছে,’’ বলেছেন শাকিব। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের শুধু প্রাথমিক জিনিসগুলো ঠিকঠাক রাখতে হবে। আমার মনে হয় আমরা দক্ষ দল। এই সব ব্যাপারগুলো সামলানোর মতো ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’