গোটা বাংলা জুড়ে সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে গেরুয়া শিবির৷ তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা এ যেন রীতিমত নিয়ম হয়ে উঠেছে৷ শক্তিগড়ে এবার ফের গেরুয়া দুষ্কতীদের দ্বারা আক্রান্ত তৃণমূল৷
বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এক পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, মন্ত্রীর বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেপ্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন তার পর রাত কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে হামলা চালায় জার্সি পাল্টানো সিপিএমের হার্মাদরা। পরপর দু’বার শক্তিগড় থানার বৈকন্ঠপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷
পুলিশের কাছে অভিযোগ করে উপপ্রধান জয়দেব ব্যানার্জি বলেন, ‘গত রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে ব্লক অফিসে একটি সভায় আমি গিয়েছিলাম। ওইদিন রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে। তখন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এর পর মঙ্গলবার বিকেলে হাটগোবিন্দপুরে দলীয় কার্যালয় ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের প্রতিবাদ মিছিলে আমি অংশ নিই। এরপরই মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিজেপি–র কিছু দুষ্কৃতী হাতে বিজেপি–র পতাকা নিয়ে আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার পর রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। দুটো নাগাদ পুলিশ বাড়িতে এসে সমস্ত বিষয়টি দেখে যায়। পুলিশ আশ্বাস দিয়ে গেছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি জানান, তাঁর বৃদ্ধ বাবা এবং মা অসুস্থ। তাঁরা সারারাত ঘুমোতে পারেননি। এই ঘটনার সুবিচার চাইছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর নির্দেশ দিয়েছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। সোনার বাংলা গড়তে চাই। তাই আমরা গ্রামে রবীন্দ্রনাথের গান শুনিয়েছিলাম। কিন্তু সিপিএমের তথাকথিত হার্মাদরা জার্সি পাল্টে বিজেপিতে আশ্রয় নিয়ে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে হামলা চালাচ্ছে।’
একদিন আগে এই থানা এলাকার হাটগোবিন্দপুরে বর্ধমান ১ নম্বর তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিল বিজেপি–র আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পর পর এভাবে তারা হামলা চালানোয় সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পর গতকাল মধ্যরাতে জয়দেববাবু শক্তিগড় থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু বুধবার সন্ধে পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।