জোড়াফুল প্রতীকে দাঁড়িয়েই ভোটে লড়েছিলেন তিনি। এবং তা দেখেই ভোট দিয়ে তাঁকে জিতিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তাই মন থেকে কিছুতেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় মানুষজন এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ৷ দল এবং মানুষের সঙ্গে বেইমানি করায়, এবার ‘হরি বোল’ স্লোগান তুলে বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নাম লেখা এবং ছবি দেওয়া হোর্ডিং জ্বালিয়ে দিলেন এলাকার মানুষজন এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দলত্যাগ নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল, মঙ্গলবার তা সত্যি হয়েছে৷ ওইদিন বিকালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন উত্তর বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক৷ তাঁর সঙ্গে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর। সূত্রের খবর, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনগাঁ উত্তরের একাধিক এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে৷ ধর্ম পুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদা বাজার এলাকায় জড়ো হন শাসকদলের সমর্থকরা৷
এরপরই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দলত্যাগের প্রতিবাদে করেন তাঁরা৷ ‘হরি বোল’ ধ্বনি দিয়ে জ্বালিয়ে দেন তাঁর ছবি দেওয়া হোর্ডিংগুলি। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থরা জানান, ‘আমরা বিধায়ককে ভালবাসতাম৷ তাঁকে মান্য করতাম। আমাদের না জানিয়ে উনি দলবদল করেছেন। তাঁকে বিধায়ক করতে আমরা, এলাকার তৃণমূল কর্মীরা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলাম। উনি বেইমানি করেছেন৷’ এলাকার সাধারণ মানুষজনও বলছেন, বিশ্বজিৎবাবুকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলাম আমরা৷ বিধায়কের এ হেন সিদ্ধান্তে তাই বেশ ক্ষুব্ধ তাঁরা।