বিহারে এনসেফেলাইটিসে শিশুমৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গণঅসন্তোষ। অসুস্থ শিশুদের দেখতে গিয়ে কালো পতাকা দেখার পাশাপাশি অভিভাবকদের থেকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনকে। এবার গত ১৭ দিনে ১২৯ শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে নীতিশ কুমারের নামে। পিআইএল হয়েছে হর্ষবর্ধনের নামেও।
অন্যদিকে এনসেফালাইটিসে মৃত্যুর ঘটনায় বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে, স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের বিরুদ্ধেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৬ জুন সেই মামলা আদালতে উঠবে। এই ঘটনায় সরকারি ব্যর্থতার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।
বেশ কিছুদিন ধরেই এনসেফালাইটে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় হাহাকার শুরু হয়েছে বিহারে। রোগের প্রাদুর্ভাবের দু সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মুজফফরপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নীতীশ। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্টভাবে কোনও ধারণা দিতে পারেনি তাঁর স্বাস্থ্য দফতর। এই রোগ মূলত ১-১০ বছরের শিশুদেরই হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেই জন্য এই হাসপাতালে বাড়তি ডাক্তার রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছেন মুজাফফরপুরের সাংসদ বিজেপির অজয় নিশাদ। তিনি শিশুমৃত্যুর জন্য চরম গরমকেই দুষেছেন। এ-ও বলেছে, মহামারীর আকার নেওয়া এনসেফেলাইটিসের জন্য নাকি দারিদ্র, অপরিচ্ছনতার সঙ্গে ফোর জি-ও দায়ী! তাঁর কথায়, ‘বহু বছর ধরেই এখানে গ্রীষ্মকালে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে আছে দারিদ্র, নোংরা পরিবেশ, ফোর জি। বর্ষা এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে’।
এদিকে, এনসেফেলাইটিসে ১৭ দিনে নতুন করে মৃতের সংখ্যা না বাড়লেও আইসিইউ-তে আছে ৩৫০ শিশু বলে খবর। প্রসঙ্গত, এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা ১২৯ ছুঁয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজেই মারা গেছে ৭৯ শিশু। ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কেজরিওয়াল দাতব্য হাসপাতালে।