কাঁধে ৮৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণের বোঝা নিয়ে বহুদিন ধরেই ধুঁকছিল সংস্থা। অবস্থা এমনই যে কর্মীদের বেতন অব্দি দেওয়ার টাকাও ছিল না। অবশেষে ঋণের ভারে ও পুঁজির অভাবে গত ১৭ এপ্রিল বন্ধ হয়ে গেছে জেট এয়ারওয়েজের পরিষেবা। তবে তাও যা ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, তাও এবার বিশবাঁও জলে।
বর্তমানে বন্ধ এই বিমান সংস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এসবিআইয়ের নেতৃত্বাধীন ব্যাঙ্কগুলির কনসর্টিয়াম। জেট নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছিল ব্যাঙ্কগুলি। সেখানে জেট এয়ারওয়েজ ইস্যুতে দেউলিয়া আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেট এয়ারওয়েজের পুনরুজ্জীবন নিয়ে বিমান সংস্থা এতিহাদের সঙ্গে হিন্দুজা গোষ্ঠী আলোচনা শুরু করতে পারে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে শোনা যাচ্ছিল। এই দুই সংস্থা মিলিয়ে বর্তমানে অর্থশূন্যতায় ভুগতে থাকা একদা ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থাটির ঘুরে দাঁড়ানোর রোডম্যাপ পেশ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি বলে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে আর কোনও গ্রহণযোগ্য লগ্নিকারীর সন্ধান না মেলায় শেষ পর্যন্ত এনসিএলটির দ্বারস্থ হওয়াই সঠিক বলে মনে করছে ব্যাঙ্কগুলি।