বারবার জঙ্গী হামলায় কেঁপে উঠছে উপত্যকা। সেই অনন্তনাগ। যেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল। গত ১২ জুন এই অনন্তনাগেই জঙ্গীদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল দুই সেনা অফিসার-সহ পাঁচ সিআরপিএফ জওয়ানের। আর আবারও জঙ্গীদের গুলি চলল দক্ষিণ কাশ্মীরের সেই অনন্তনাগে।নিহত সেই পাঁচ জওয়ানের একজনের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে চোখের জলে সহকর্মীকে বিদায় জানালেন পুলিশ অফিসারেরা।
গত বুধবার অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীদের হানায় গুরুতর জখম হন সিআরপিএফ জওয়ান আরশাদ খান। সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মারা যান ৫ জওয়ান। আরশাদ খান তাঁদেরই একজন। রবিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে মারা যান আরশাদ খান।
বহুদিনের সহকর্মীকে এভাবে হারিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কেউই। তাঁর শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে তাঁর সহকর্মীরা যেভাবে তাঁকে বিদায় জানালেন সেই ছবি কাঁদিয়ে তুলেছে সবাইকে। পিছনে শায়িত তাঁর সহকর্মীর দেহ। সেখানে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন একের পর এক পুলিশকর্মী। আর এদিকে তাঁর চোখে জল। কোলে মৃত সহকর্মীর পুত্র। জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীদের হানায় মৃত্যু হয়েছে পুলিশ অফিসার আরশাদ খানের। তাঁরই পুত্রকে কোলে নিয়ে চোখ ছলছল চোখে সিনিয়র এক পুলিশকর্মীর ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছবিটি তোলা হয়েছে আরশাদ খানকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময়ে। শ্রীনগরের জেলা পুলিশ লাইনে মৃত সহকর্মী আরশাদ খানের চার বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ হাসিব মুঘলের এই ছবিই নাড়িয়ে দিয়েছে দেশবাসীকে। ট্যুইটারে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে পোস্ট করা হয়েছে ছবিটি।
অনন্তনাগ শহরের সদর পুলিশ স্টেশনে, স্টেশন হাউস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরশাদ খান। তাঁর পরিবারে আছেন স্ত্রী, দুই পুত্র, মা-বাবা এবং ছোট ভাই। শ্রীনগরেরই মানুষ এই আরশাদ এবং তাঁর পরিবার। ২০০২ সালে পুলিশের চাকরিতে নিযুক্ত হন তিনি।