চলতি বিশ্বকাপে অনবদ্য ফর্মে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে সফল এই তারকা অলরাউন্ডারই বিশ্বকাপে টেনে নিয়ে চলেছেন বাংলাদেশকে। এদিন টনটনে ক্যারিবিয়ানদের রীতিমতো নাকানিচোবানি খাইয়ে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচের নায়ক সেই সাকিবই। ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি এদিন অপরাজিত ১২৪ রানও করেন তিনি। আর এই ম্যাচের পরই সাকিবের নামের পাশে লেখা হয়ে গেল একাধিক রেকর্ড।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক শাকিবের ব্যক্তিগত মাইলস্টোন ও ম্যাচে বাংলাদেশের দলগত কৃতিত্ব৷
এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি করে সাকিব অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে টপকে চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান স্কোরারে পরিণত হন৷ ৫ ম্যাচের ৪ টি ইনিংসে শাকিবের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩৮৪ রান৷ ৫ টি ইনিংসে ফিঞ্চের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩৪৩ রান৷ ৪ টি ইনিংসে ৩১৯ রান সংগ্রহ করে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা৷ বল হাতে ৫ টি উইকেটও সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার৷
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮ উইকেটে ৩২১ রানের জবাবে ৩ উইকেটে ৩২২ রান তুলে জয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতলো বাংলাদেশ৷ ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে ৩২৯ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড৷ সেটিই এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে রান তাড়া করে সব থেকে বড় জয়৷
শেষ ৫ টি ওয়ান ডে ম্যাচে পঞ্চাশের বেশি রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন শাকিব৷ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন শাকিব৷ তাঁর আগে কেবল তামিম ইকবাল এমন কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন৷ শেষ পাঁচটি ইনিংসে শাকিবের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে অপরাজিত ৫০, ৭৫, ৬৪, ১২১ ও অপরাজিত ১২৪৷ এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ২ টি ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ৷ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন শাকিব৷
ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২০২ ম্যাচের ১৯০টি ইনিংসে ৬ হাজার রানের মাইলস্টোন টপকে যান শাকিব৷ এই নিরিখে বীরেন্দ্র সেহওয়াগকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি৷ ইনিংসের নিরিখে যুবরাজ সিংহ ও কুমার সাঙ্গাকারার থেকেও দ্রুত ৬ হাজার রান করেন শাকিব৷ তাঁর ওয়ান ডে রান এই মুহূর্তে ৬১০১৷ সব মিলিয়ে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৪ টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন শাকিব৷ জ্যাক ক্যালিস, সনৎ জয়সূর্য এবং শাহিদ আফ্রিদিকে পিছনে ফেলে দিয়ে মাত্র ২০২ ম্যাচ খেলেই এই রেকর্ড গড়লেন সাকিব আল হাসান।