গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উতপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটি এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত হয়ে উঠল যে চলল গুলিও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ।
দলীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন খোকন সেন–সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। খোকনকে মেনে নিতে পারেননি বিজেপি’র কয়েকজন স্থানীয় নেতা। তা নিয়েই গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয় বিজেপির অন্দরে। অভিযোগ, সোমবার বর্ধামানের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির জেলা যুবমোর্চার সভাপতি শ্যামল রায়কে আক্রমণ করে সে। কার্যালয়ের ভিতরেই পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বর্ধমানের বিজেপি’র যুব নেতা শ্যামল রায় যখন দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন তখন খোকনের নেতৃত্বে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা হামলা চালায়। এমনকী কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। শ্যামলের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে খোকন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে শ্যামল এবং তার দল মিথ্যা অভিযোগ করছে। সোমবার যখন আমার অনুগামীরা বসেছিল তখন সেখানে শ্যামলের নেতৃত্বে বোমাবাজি করা হয়। আমি কার্যালয়ে গেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। যাঁরা নতুন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না”। পাল্টা শ্যামল রায় অভিযোগ করেন, “এমন কিছু হয়নি। খোকন যেভাবে দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি”। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এটা বেশ বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপির অন্দরের ভিত নড়বড়ে হচ্ছে।