দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর দিনেই মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় রিপোর্ট। সে দিনই প্রকাশ্যে এসেছিল, মোদী জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যেমন কমেছে, তেমনই বেহাল দশা কর্মসংস্থানেরও। শুধু তাই নয়, ধুঁকছে দেশের কৃষিও। জানা গেছে, ক্ষমতায় ফিরে এমনই বড়সড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শরণ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইংরেজি সাংবাদ মাধ্যম দ্য প্রিন্ট সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে দেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ সরকারি কোষাগারে হস্তান্তর করতে চাইছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঞ্চয়ের একাংশ সরকারি কোষাগারে চাওয়ায় কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন তৎকালীন আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেল। কেন্দ্রের দাবি, আরবিআইয়ের কাছে ৯.৫৯ লক্ষ কোটি টাকার সঞ্চয় রয়েছে। যা মূলত আপৎকালীন সময়ের জন্য রাখা হয়। কেন্দ্রের দাবি, বিপুল পরিমাণ টাকা আরবিআইয়ের জমা রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই এই জমা টাকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ, ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রকে দিক আরবিআই। একে সংস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল।
এরপরই আরবিআইয়ের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর রাকেশ মোহনকে আরবিআই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। তাঁদের ৬ সদস্যের কমিটির আগামী একমাসের মধ্যেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, ক্ষমতায় ফিরেই অর্থনীতিতে জোড়া ধাক্কার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। জানুয়ারি থেকে মার্চ, বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকেই মুখ থুবড়ে পড়েছে জিডিপি। বর্তমানে ভারতের জিডিপির হার ৫.৮। পাশাপাশি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার দিনই বেকারত্ব নিয়ে সরকারি তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে বেকারত্ব হার চার দশকে সর্বোচ্চ। মনে করা হচ্ছে, এই কারণে এবার আরবিআইয়ের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারে মোদী সরকার।